কলকাতা: হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুরা আক্রান্ত হচ্ছে বাংলাদেশে। সেদেশে উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সোমবার ভারত-বাংলাদেশ (India-Bangladesh) বিদেশ মন্ত্রক বৈঠকে বসেছিল। হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করতে ইউনূস প্রশাসনকে বার্তা পাঠিয়েছে ভারত। এদিন প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বিদেশ সচিব পর্যায়ের বৈঠক করেন। আর সেই বৈঠকের পরে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্রী (Indian Foreign Secretary Vikram Misri) জানান, বাংলাদেশে হিন্দু-সহ সংখ্যালঘুদের উপরে যে নির্যাতন চলছে তা নিয়ে উদ্বেগ ভারত। ধর্মীয় স্থানে, সাংস্কৃতিক স্থানে হামলার ঘটনা দুঃখজনক । এই সব ইস্যুতে বাংলাদেশ প্রশাসন ইতিবাচক পদক্ষেপ করবে বলে আমরা আশাবাদী।
আরও পড়ুন: পদ্ম শিবির থেকে আবার ঘাসফুল শিবিরে প্রত্যাবর্তন প্রবীর ঘোষালের
কয়েকদিন আগেই বাংলাদেশের প্রাক্তন সেনা কর্মীরা কলকাতা দখলের ডাক দিয়েছিলেন। বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভি কলকাতাসহ বাংলা-বিহার ওড়িশা দখলের ডাক দিয়েছেন। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সোমবার ভারত-বাংলাদেশ বিদেশ মন্ত্রক বৈঠকে বসেছিল। সোমবার সকাল ৯টা নাগাদ ঢাকায় পৌঁছন বিদেশ সচিব। কুর্মিটোলার বিমানঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মহাপরিচালক ইশরাত জাহান। বৈঠকে ভারতের বিদেশ সচিব নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে বাংলাদেশে বসবাসকারী সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেন। বৈঠকের পর বাংলাদেশের বিদেশ দফতরের উপদেষ্টা মহম্মদ তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন মিস্রী। মিস্রী বলেন, বৈঠকে আমাদের মধ্যে খোলামেলা, গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। আমরা সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়েও আলোচনা করেছি। নয়াদিল্লি ঢাকার সঙ্গে সুসম্পর্ক চায় বলে জানান তিনি। সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা এবং উন্নয়ন নিয়ে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। ধর্মীয় স্থানে হামলার ঘটনার কথাও জানিয়েছি। বাংলাদেশের নতুন সরকার একাধিক বদল ঘটেছে বলে জানান মিস্রী।
অন্য খবর দেখুন