জয়জ্যোতি ঘোষ
মিনি ডার্বির উত্তেজক ম্যাচ কোথায়? যুবভারতী জুড়ে যেন পুরো নাটক! রেফারি হরিশ কুন্ডুকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ! আর ক্ষোভ হওয়াটাই স্বাভাবিক। প্রথমার্ধে ইস্টবেঙ্গলের পক্ষে যাওয়া পেনাল্টি বাতিল করেন রেফারি। এরপর নাটক ক্লাইম্যাক্সে পৌঁছায় প্রথমার্ধের ২৭ মিনিটেই। বল দখলের লড়াইতে অমরজিতের সঙ্গে জোর টক্কর হয় নন্দকুমারের। বল ট্যাকেলের লড়াইতে নন্দর ডান হাত গিয়ে লাগে অমরজিতের গালে। মহামেডানের (Mohameda) তরফ থেকে বলা হয় ইচ্ছস্কৃতভাবে অমরজিতকে মারেন নন্দকুমার। রেফারি আর বিলম্ব না করে লাল কার্ড দেখায়। এখানেই শেষ নয়! রেফারির সিদ্ধান্তে বিরক্তি চেপে রাখতে পারেননি লাল-হলুদ ফুটবলার মহেশ। তাঁর অভিব্যক্তি দেখে ৩৬ সেকেন্ডের মধ্যে মহেশকেও লাল কার্ড দেখান রেফারি।
আইএসএলের ইতিহাসে এটা নজিরবিহীন ঘটনা যে ম্যাচের ২৭ মিনিটের মধ্যে একটি দল জোড়া লাল কার্ড দেখল। এরপর থেকে ৯ জনে খেলে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এই ৯ জনের রেফারি হরিশ কুন্ডুকে নিয়ে তীব্র ক্ষোভ! অশান্ত যুবভারতী ইস্টবেঙ্গল ( East Bengal) হারাতে ব্যর্থ মহামেডান। প্রচুর পাসিং ফুটবল খেললেও তিন কাঠির ভিতরে বল ঢোকাতে ব্যর্থ সাদা-কালো ব্রিগেড।
আরও পড়ুন: চাইলেও ঋষভ পন্থকে নিতে পারবে না কেকেআর, কেন জানেন?
অন্যদিকে, প্রশংসা কুড়িয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল কোচ অস্কার ব্রুজোর ট্যাকটিক্স এবং গেম রিডিং দক্ষতা। ড্র এর সুবাদে এবারের আইএসএলে পয়েন্টের খাতা খুললো ইস্টবেঙ্গল।
ম্যাচ রেফারিং নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন প্রাক্তন ফুটবলার বিকাশ পাঁজি। বললেন, ‘’খুব বাজে রেফারিং। ন্যায্য পেনাল্টি পেল না ইস্টবেঙ্গল।” এই ম্যাচের রেফারিং নিয়ে জল যে অনেক দূর গড়াবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
অন্য খবর দেখুন