নয়াদিল্লি: পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। ইজরায়েলে (Israel) এবার হামলা (Attack) ইরাকের (Iraq)। একটি বন্দরে হামলা চালানো হয়। এই হামলার দায় স্বীকার করেছে ইরাকের সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক রেজিস্ট্যান্স। ড্রোন দিয়ে হামলা চালানো হয়। গাজার পর লেবাননে হামলার জেরে লড়াই গোটা অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন ঝুঁকি ছিল। তা নিয়ে আন্তর্জাতিক মহল আগেই সতর্ক করেছিল। তবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধ থামাতে রাজি নন। লড়াইয়ে জড়িয়ে গেল ইরাকের সশস্ত্র গ্রুপ। লেবাননেও ইজরায়েলের হামলার ধরন গাজার মতোই। চলছে নির্বিচারে বোমাবর্ষণ। এই প্রেক্ষিতে আমেরিকা, ব্রিটেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইজারায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে হামাস ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর যানবাহনে রকেট হামলা চালিয়েছে গাজায়।
এদিকে, হিজবুল্লাহকে (Hezbollah) ফের হুঁশিযারি দিয়ে নেতানিয়াহু রবিবারই বলেছিলেন যে তেল আভিভ সাম্প্রতিক লেবাননে সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে এমনভাবে আঘাত করেছে যে তারা এটি কল্পনাও করতে পারেনি। যদি হিজবুল্লাহ এই বার্তাটিও বুঝতে না পারে তবে আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, এবার বার্তাটি বুঝতে পারবে। উল্লেখ্য, ইজরায়েলি যুদ্ধবিমান লেবাননের দক্ষিণ জুড়ে প্রায় এক বছরের যুদ্ধের মধ্যে সবচেয়ে তীব্র বোমাবর্ষণ করেছে সম্প্রতি। হিজবুল্লাহও পাল্টা আক্রমণ করে। তাতেই আরও চটে গিয়েছে ইজরায়েল। ইজরায়েলের উত্তরে সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে রকেট হামলার দাবি করে হিজবুল্লা। ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারাও শনিবার প্রায় ২৯০টি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করেছে। এর আগে শুক্রবার, ইজরায়েলি বিমান হামলায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতের উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহ কমান্ডারসহ অন্তত ৩৭ জন নিহত হয়।
আরও পড়ুন: ইজরায়েলে পাল্টা হামলা হিজবুল্লাহর
আরও খবর দেখুন