কলকাতা: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অবস্থান বদল। নয়া বিবৃতিতে চিন্ময় কৃষ্ণদাসের আন্দোলনকে সমর্থনের বার্তা দিল বাংলাদেশ ইসকন (ISKCON Bangladesh)। হিন্দু ধর্মীয় সংগঠনের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল, চিন্ময়কৃষ্ণের সঙ্গে কোনও দূরত্ব তৈরি করা হয়নি। তাঁর আন্দোলনকে সমর্থন করে ইসকন। তবে চিন্ময় কৃষ্ণ সম্পর্কে কিছু বিষয় শুধু স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংগঠনের তরফে বলা হয়, চিন্ময়কৃষ্ণ ইসকন-এর সদস্য নন। তাই তাঁর কোনও কাজের দায় ইসকন নিচ্ছে না। অনুগামীদের আন্দোলনের জন্য ইসকন দায়ী নয়। রাত কাটতে না কাটতেই নিজেদের অবস্থান বদল করল বাংলাদেশের ইসকন।
শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ ইসকনের তরফে নতুন বিবৃতি দেওয়া হয়। সেই বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আমরা শুধু স্পষ্ট করেছি চিন্ময় কৃষ্ণদাস ইসকনের সদস্য নন। বাংলাদেশের ইসকনের প্রতিনিধিত্ব তিনি করছেন না। চিন্ময়কে তারা সমর্থন করেন। তারা এও জানিয়েছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের সুরক্ষার জন্য যে সব ধর্মীয় বা সনাতনী সংগঠন আন্দোলন করছে, সেই সব সংগঠনকেও ইসকন সমর্থন করে।
আরও পড়ুন: বড়সড় যুদ্ধের প্রস্তুতি হিজবুল্লার
উল্লেখ্য,গত সোমবার ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণদাসের গ্রেফতারির পর থেকেই উত্তাল পদ্মাপার। দিকে দিকে প্রতিবাদে নেমেছে হিন্দুরা। এক আইনজীবীর মৃত্যুতেও উত্তপ্ত হয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা। গ্রেফতারির প্রতিবাদে হিন্দু সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সদস্যরা প্রতিটি জেলায় শান্তিপূর্ণ সভা সমাবেশ করে। তবে, এই শান্তিপূর্ণ সভাগুলিতে চরমপন্থী দলগুলি আক্রমণ চালায়। চট্টগ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা।পোড়ানো হচ্ছে হিন্দুদের ঘরবাড়ি,মন্দির। শুক্রবার চট্টগ্রামে জুমার নামাজের পর শান্তনেশ্বরী মন্দিরে হামলা চালিয়েছে মৌলবাদীরা। হিন্দুদের দোকান ও বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে। ঘটনায় অনেকে আহত হয়েছেন। অভিযোগ উগ্রবাদী ও মৌলবাদীরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনরত জনগণের ওপর হামলা চালালেও প্রশাসন ও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বেছে বেছে হিন্দু বাড়ি ঘর ও তাদের ধর্মীয় স্থানগুলোতে হামলা চালানো হচ্ছে। চলছে খুন-লুঠ, বাদ যাচ্ছেন না মহিলারাও। অত্যাচারিত হচ্ছে মহিলারা। অনেকেই আতঙ্কে ঘর থেকে বাড়ির বাইরে পা রাখছেন না। ছেড়েছেন নিজেদের বাসস্থান। হিন্দুদের উপর হামলার ঘটনা নিয়ে সংসদে দেওয়া বিবৃতিতে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে সতর্ক করল ভারত। বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছেন। হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর যে আক্রমণ চলছে তাতে ভারত শীর্ষ স্তর থেকেই এ বার সতর্ক করল মুহাম্মদ ইউনূসের সরকারকে।
দেখুন ভিডিও