ওয়েব ডেস্ক: সম্প্রতি ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সম্পর্কে আরও অবনতি হয়েছে। ইরান সতর্ক করেছে যদি ইজরায়েল তাদের পরমাণু বা তেল স্থাপনা আক্রমণ করে, তবে তার প্রতিশোধ কঠোর হবে। অপরদিকে, ইজরায়েল ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করে সম্ভাব্য প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছে।
ইরানের সমর্থিত গোষ্ঠী, যেমন হিজবুল্লা ও হামাস, ইজরায়েলের উপর আক্রমণ বৃদ্ধি করেছে। সীমান্তে এই প্রক্সি গোষ্ঠীগুলোর কার্যক্রম ইজরায়েলকে আরও সতর্ক অবস্থানে দাঁড় করিয়েছে। ইজরায়েল প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
আরও পড়ুন: অনূর্ধ্ব ১৬ মানেই সোশ্যাল মিডিয়ায় অ্যাকাউন্ট নয়, সিদ্ধান্ত অস্ট্রেলিয়ার
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি দ্বন্দ্বের মূল কেন্দ্রবিন্দু। ইরান দাবি করছে যে, তাদের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত হচ্ছে। তবে, ইজরায়েল ও তার মিত্ররা বলছে, ইরান এই কর্মসূচির মাধ্যমে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়, যা অঞ্চলে স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ অন্যান্য বিশ্ব শক্তি এই পরিস্থিতি গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। রা উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে আপোসের সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ বলে মনে হচ্ছে, যা এই অঞ্চলে আরও বড় সংঘাতের শঙ্কা তৈরি করছে।
উভয় দেশের মধ্যে ক্রমাগত হুমকি এবং পাল্টা হুমকির কারণে, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধের আশঙ্কা বেড়েছে। কূটনৈতিক সমাধানের অভাবে এই সংঘাত আরও দীর্ঘমেয়াদী সমস্যার দিকে এগিয়ে যেতে পারে, যা শুধু এই দুই দেশের নয়, বরং গোটা বিশ্বের নিরাপত্তার উপর প্রভাব ফেলবে।
দেখুন আরও খবর: