কলকাতা: মহাশূন্যে ‘স্পেস স্টেশন’ (Space Station) তৈরির লক্ষ্যে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ভারত (India)। হয়তো ২০২৫ সালের শুরুতেই আমেরিকা, রাশিয়া এবং চিনের সঙ্গে এক তালিকায় নাম লেখাবে আমাদের দেশও। আগামী ৩০ শে ডিসেম্বর রাতে যখন আমরা বর্ষবরণের উৎসবে মত্ত থাকবো, তখন মহাকাশে একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা চালাবে ইসরো (ISRO)। এটি হল ‘স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্ট মিশন’ (SpaDex or Space Docking Experiment) বা ‘স্পাডেক্স’। আসলে মহাশূন্যে দু’টি আলাদা আলাদা কৃত্রিম উপগ্রহকে একসঙ্গে জুড়ে দেওয়ার এক কঠিন পরীক্ষা চালাবেন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার বিজ্ঞানীরা।
ইসরো জানিয়েছে, ‘চেজার’ এবং ‘টার্গেট’ নামের একজোড়া পৃথক কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে জুড়ে দেওয়া হবে। এই দুই স্যাটেলাইট পৃথিবীকে ঘন্টায় ২৮,৮০০ কিমি বেগে প্রদক্ষিণ করবে। অর্থাৎ, বন্দুক থেকে ছোড়া বুলেটের থেকেও ১০ গুণ বেশি গতিতে একে অপরের দিকে ছুটে আসবে দু’টি কৃত্রিম উপগ্রহ। যদিও বিশেষ প্রযুক্তির মাধ্যমে এই গতি কমিয়ে আনা হবে। শেষমেশ, ভূপৃষ্ঠ থেকে ৪৭০ কিমি উপরে ডকিং প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দু’টি স্যাটেলাইটকে জুড়ে দেওয়া হবে। তবে পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যপক জটিল, অল্প ভুল হলেই হয়ে যাবে মারাত্মক ক্ষতি। তাই এই কাজে কোনওরকমের খমতি রাখতে নারাজ ইসরোর বিজ্ঞানীরা।
আরও পড়ুন: মহাকাশে কীভাবে জল পান করেন সুনীতা? দেখুন ভিডিও
প্রসঙ্গত, স্পেস স্টেশন তৈরির আগে এই ‘ডকিং’ প্রক্রিয়ায় সফল হওয়া জরুরি। কারণ, মহাকাশে স্টেশন তৈরি হলে সেখানে মহাকাশচারীরা অবতরণ তখনই করতে পারবেন, যখন তাঁরা সফলভাবে সেখানে ডকিং করতে পারবেন। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ‘নাসা’ এই কাজে সফল হয়েছে বহু বছর আগেই। তবে ডকিংয়ের জন্য নাসা ২৮ ইঞ্জিন সমৃদ্ধ একটি প্রযুক্তি ব্যবহার করে। কিন্তু ইসরো মাত্র ২টি ইঞ্জিনের মাধ্যমে এই কাজটি সফলভাবে করবে বলে জানা গিয়েছে। তাই এখন আপামোর ভারতবাসী এই মিশনের সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করছেন।
দেখুন আরও খবর: