বাঁকুড়া: তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির (Cooruption) অভিযোগ তুলে অপসারণের দাবিতে সরব তৃণমূল সদস্যরাই। ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গণ্ডগোলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, দাবি বিরোধীদের। পঞ্চায়েত পরিচালনার ক্ষেত্রেও সামনে এল শাসক তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ঘটনা বাঁকুড়ার (Bankura) তৃণমূল পরিচালিত তালড্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের।
বাঁকুড়ার তালড্যাংরা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৫টি আসনের মধ্যে ১১ টি আসন তৃণমূলের দখলে। ৩ টি আসন বিজেপি ও ১ টি আসন সিপিএমের দখলে। সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন তৃণমূলের দখলে থাকায় ওই পঞ্চায়েতের প্রধান রয়েছে তৃণমূলের। সম্প্রতি জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের তরফে প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত থেকে ২০ জন করে তরুণ তরুণীকে প্রশিক্ষণের জন্য নামের তালিকা চেয়ে পাঠানো হয়। আর সেই তালিকাকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
আরও পড়ুন: নাবালক অভিযুক্তদের এখনও নরম ভাবে দেখা হচ্ছে, বক্তব্য মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের
তৃণমূলের সদস্যদের একাংশের দাবি, পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্যদের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই নিজের ইচ্ছামতো তালিকা তৈরি করে বিডিও অফিসে পাঠিয়ে দিয়েছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। অন্যান্য ক্ষেত্রেও পঞ্চায়েত সদস্যদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রাখা হয় বলে অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগকে সামনে রেখেই পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ ঘোষকে অপসারণের দাবিতে তালড্যাংরার বিডিও এবং বাঁকুড়া লোকসভার সাংসদের কাছে লিখিত আবেদন জানান ওই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃনমূলের নির্বাচিত অপর ১০ জন সদস্য সদস্যা। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত প্রধানের এই কাজকর্মের ফলেই গত লোকসভা নির্বাচনে এলাকায় তৃনমূলের ফল খারাপ হয়েছে। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁর দাবি, পঞ্চায়েতের সব সদস্যকে ডেকেই সমস্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শুধুমাত্র তাঁকে কালিমালিপ্ত করতেই এমন মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে। বিরোধী বিজেপির দাবি, তৃণমূলের অন্দরেই বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে গন্ডগোলের জেরেই এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
আরও খবর দেখুন