কলকাতা: পুজোর ছুটিতে ডেস্টিনেশন হতেই পারে মেঘের দেশ ঝান্ডি (Jhandi)। ভৌগলিকভাবে জলপাইগুড়ি জেলার সীমানা ঘেঁষে কালিংপং জেলার ঝান্ডি গ্রামটি অবস্থিত। দৈনন্দিন জীবনের কোলাহল থেকে অনেকটাই নিরিবিলি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই গ্রাম। দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততা ভরা জীবন থেকে একটু মানসিক শান্তির জন্য চলে আসতে পারেন নিরিবিলি পাহাড়ি এই গ্রামে। এখানে এলেই দেখবেন চা বাগিচার বুক চিড়ে এগিয়ে চলেছে পাহাড়ি পথ, তার মাঝেই পাইন ফরেস্টে অপরূপ প্রাকৃতিক দৃশ্য।
সমুদ্রপৃষ্ঠ তল থেকে মাত্র ৬২o৫ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত ঝান্ডিগ্রাম। নিকটতম রেলওয়ে স্টেশন নিউ মাল জংশন আর দূরত্ব রয়েছে মাত্র ৩২ কিলোমিটার । নিউ মাল জংশন থেকে গরুবাথান, সেই পথ ধরে এগিয়ে চেল পিকনিক স্পট হয়ে পাহাড়ি পথ ধরে নিম বস্তি হয়ে পৌঁছে যাবেন ঝান্ডি গ্রামে। আর যারা এনজিপিতে নামবেন এনজিপিতে নেমে ঝান্ডি গ্রামে যাওয়ার পথে ডুয়ার্সের প্রকৃতির হাতছানি দিয়ে পৌঁছে যেতে পারেন ঝান্ডি গ্রামে, যাওয়ার পথে আপনার চোখ সাক্ষী হয়ে থাকবে সেবকের ব্রিটিশদের তৈরি করোনেশন ব্রিজ এবং তার পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে তিস্তা। চাইলে সেবকেশ্বরি কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন: অল্প কয়েকদিনের ছুটিতে ঘুরে আসুন দার্জিলিংয়ের এইসব পাহাড়িগ্রামে
অপরদিকে চাইলেই চলে আসা যাবে ডুয়ার্সের মাল জংশনে। মাল জংশন থেকে গাড়ি ভাড়া করে অনায়েসে পৌঁছে যেতে পারেন ঝান্ডি গ্রামে। মাল জংশন থেকে দূরত্ব মাত্র ৩২ কিলোমিটার। মাল জংশন থেকে গাড়ি নিয়ে চা বাগানের বুক চিরে চলে যাওয়া পাকা রাস্তা ধরে গরু বাথানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে পৌঁছে যেতে পারেন আপনার গন্তব্যে। এই গ্রাম থেকে আপনি দেখতে পাবেন ডুয়ার্সের (Dooars) ছবি। পাশাপাশি দেখতে পারবেন কাঞ্চনজঙ্ঘার নৈসর্গিক দৃশ্য। সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত এবং প্রচুর পাহাড়ি পাখির আনাগোনা,কলরব। রংবেরঙের ফুলে ভরা ঝান্ডিগ্রাম। ঝান্ডি থেকে আপনি অনায়াসে ঘুরে আসতে পারেন পাশা বং , নকদারা , লাভা, ছাঙ্গে ওয়াটার ফলস, রিসব এবং কোলাখাম । সুন্দর চা বাগানের ঢেউ খেলানো সবুজ পাতার গালিচায় উপভোগ করতে পারেন চা বাগানের সুন্দর দৃশ্য ।
এই গ্রাম থেকে পাহাড়ের ছোট ছোট শহর যেমন কালিম্পং, লাভা, দার্জিলিংয়ের টাইগার হিল সহ সিকিমের একাংশ দেখতে পাবেন। ব্ল্যাক মাউন্টেন যাকে আমরা নাথুলা বলে চিনি সেই পাহাড়ও দেখতে পারবেন ঝান্ডি গ্রাম থেকে। এখানকার আবহাওয়া মানুষকে মুগ্ধ করে। আর সঙ্গে রয়েছে মেঘের খেলা। প্রতিআধ ঘন্টা পর পর এখানকার প্রকৃতি দৃশ্য ক্রমাগতভাবে পাল্টে যায়। থাকার জন্য যথেষ্ট সুবন্দোবস্ত রয়েছে এবং রাতের বেলায় বারবিকিউ থেকে নিয়ে বনফায়ারের ব্যবস্থা রয়েছে । রয়েছে স্থানীয় লোক্য শিল্পীদের নিত্য অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা বিনোদনের জন্য।