বীরভূম: মাসখানেক আগেই নিজের গড়ে ফিরেছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। তবে কেষ্ট ফিরতেই ফের গোষ্ঠী কোন্দলের একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে লালমাটির জেলায়। অনুব্রত বনাম কাজল- এই প্যারামিটারে ঝুলছে বীরভূমের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ। আর এবার কাজল শেখের মুখেও শোনা গেল কোন্দল কাঁটা! দলীয় অনুষ্ঠানে অকপট স্বীকারোক্তি দিলেন কাজল শেখ। যদিও, দ্বন্দ্ব-বিভেদ ভুলে সবাইকে নিয়ে কাজের বার্তা দিলেন বীরভূম জেলা সভাধিপতি। এদিকে আবার এই ঘটনাকে নিশানা করে ঘাসফুল শিবিরকে খোঁচা দিল বিজেপি।
আরও পড়ুন: কাশ্মীরে এনসি-কংগ্রেস জোট সরকার কতদিন স্থায়ী হবে?
উল্লেখ্য, বীরভূমের ১৬৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যতম হল কঙ্কালীতলা। এই এলাকার অঞ্চল সভাপতি ও পঞ্চায়েত উপপ্রধান মামন শেখ এবার কাজলের শিবির ছেড়ে হাত মিলিয়েছেন অনুব্রতর দলে। অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাত্রে কেষ্ট অনুগামী হিসেবে পরিচিত প্রাক্তন পঞ্চায়েত সমিতির বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ আলেফ শেখ নাম লিখিয়েছেন কাজলের শিবিরে। এই মর্মে বৃহস্পতিবার রাতে কঙ্কালীতলার লায়েকবাজার তৃণমূল কার্যালয়ে একটি দলীয় সভা করেন কাজল শেখ। সেখানে কাজল বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, “কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্যান্য সংসদে তৃণমূল পিছিয়ে থাকলেও লায়েকবাজারে মানুষ দু’হাত ভরে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছে। উন্নয়ন হয়নি বলবো না, তবে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কারণে সরকারি পরিষেবা থেকে ব্রাত্য রয়ে গেছে এই এলাকা। কেউ কেউ বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করেছিল। দ্বন্দ্বও তৈরি করেছিল।” এককথায়, এদিন নাম না করে কাজল শেখ নিশানা করেন অনুব্রত মণ্ডলকে। এদিকে আবার এই বক্তব্যকে নিশানা করেছে পদ্ম শিবির। বিজেপির তরফে এই বিষয়ে কটাক্ষের সুরে বলা হয়, “তৃণমূল দলটাই লুটে খাওয়ার দল। নেতারা সব ভাগের টাকা লুটপাট করছে। এদের শেষের শুরু হয়ে গিয়েছে। সবটাই শুধু সময়ের অপেক্ষা”।
দেখুন অন্য খবর: