নয়াদিল্লি: খাঁটি খাদ্যদ্রব্য পাওয়া মানুষের মৌলিক অধিকার। খাদ্যের গুণমান সম্পর্কিত আইনের ফাঁক খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকে নির্দেশ কেরল হাইকোর্টের (Kerala High Court)।
২০০৬ সালের ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ডস অ্যাক্ট ও তার বিধিতে যে ফাঁক রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রকে নির্দেশ। কারণ, নাগরিকের খাঁটি খাদ্য-পানীয় পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। অভিমত আদালতের।
আরও পড়ুন: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা অনশনে বসলেন, কিন্তু কেন?
পুদিনা এবং লেবুর স্বাদ ও গন্ধযুক্ত গ্রিন আইস টি বিক্রি করে একটি বহুজাতিক সংস্থা। আদালতের প্রশ্ন, খাদ্য বিশ্লেষক এবং ফুড ল্যাবরেটরি যদি আলাদা রিপোর্ট দেয়, সেক্ষেত্রে কীভাবে অভিযুক্তকে সাজা দেওয়া যাবে? কারণ, সম্পর্কিত আইন ও বিধি বলছে, খাদ্য বিশ্লেষকের রিপোর্টে ফুড ল্যাবরেটরি যদি সহমত দেয়, একমাত্র তখনই অভিযুক্তকে সাজা দেওয়া যায়। কিন্তু এক্ষেত্রে দুটি রিপোর্টেই ভেজালের অস্তিত্ব থাকলেও তা আলাদা। সেই কারণে অভিযোগ খারিজ।
উল্লেখ্য, বাজার থেকে কেনা নমুনা পরীক্ষা করে খাদ্য বিশ্লেষক জানান, ওই পানীয়ে স্যাকারিনের বদলে রয়েছে সোডিয়াম স্যাকারিন। যা শরীরের পক্ষে নিরাপদ নয়। একইসঙ্গে তা বেআইনি। এই রিপোর্ট অভিযুক্ত চ্যালেঞ্জ করলে ফুড ল্যাবরেটরি তার রিপোর্টে জানায়, পানীয়টি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। কারণ তাতে অতিরিক্ত ক্যাফিন রয়েছে। দ্বিতীয়ত পানীয়ে ক্যাফিনের উপস্থিতি লেবেলে উল্লেখ করা নেই।
আরও খবর দেখুন