কলকাতা: শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধে দুই আইএএস অফিসারকে সাসপেন্ড করল কেরালার রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, শিল্প ও বাণিজ্য বিভাগের ডিরেক্টর কে গোপালকৃষ্ণন এবং কৃষি উন্নয়ন ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের বিশেষ সচিব এন প্রশান্তের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের নির্দেশে প্রধান সচিব সরদা মুরলীধরনের রিপোর্টের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। কিন্তু কোন শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন এই দুই সরকারি অফিসার? সূত্রের খবর, গোপালকৃষ্ণন নামের এই আইএএস অফিসারের বিরুদ্ধে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরির অভিযোগ রয়েছে। তিনি গত মাসে ‘মাল্লু হিন্দু অফিসার্স’ নামের একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ তৈরি করেছিলেন। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়। যদিও তিনি দাবি করেন যে, তার মোবাইল হ্যাক হয়েছে। কিন্তু পুলিশি তদন্তে এই দাবির সত্যতা মেলেনি এবং দেখা যায় যে, বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলাকালীন মোবাইলটি ফরম্যাট করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘মেশিন মস্তিষ্ক নিয়ন্ত্রণ করছে, ‘উদ্ভট যুক্তি’ মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে
অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কালেক্টর ব্রো’ নামে খ্যাত আর এক আইএএস অফিসার প্রশান্তের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশের অভিযোগ সামনে এসেছে বলে খবর। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য সচিব এ জয়তিলককের সমালোচনা করে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক অভিযোগ তোলেন। প্রশান্ত দাবি করেন যে, জয়তিলক তাঁর নামে ভুয়ো অভিযোগ ছড়ানোর চেষ্টা করছেন এবং তাঁকে মানসিক ভারসাম্যহীন প্রমাণ করতে ছাইছেন। তারপর এই অফিসারের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হয় সরকারের তরফে। তবে তিনি এটিকে মত প্রকাশের সাংবিধানিক অধিকার বলে দাবি করছেন। তাঁর মতে, ভারতীয় সংবিধান সকলকেই মত প্রকাশের স্বাধীনতা দেয়। এই বিষয়টি নিয়ে কেরালার রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। কেরালার প্রাক্তন মৎস্যমন্ত্রী মার্সিকুটি আম্মা প্রশান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেছেন যে, তিনি বিরোধী দল ইউডিএফ-এর নেতাদের সাথে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনার ষড়যন্ত্র করছেন। এদিকে, কেরালার রাজস্ব মন্ত্রী কে রাজন মন্তব্য করেছেন যে, সরকারি কর্মকর্তারা চাকরিতে থাকাকালে শৃঙ্খলা মেনে চলা উচিত এবং এই শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেখুন আরও খবর: