আরামবাগ: হাসপাতাল ভর্তি থিকথিক করছে রোগী, অথচ অন্ধকারে হাসপাতাল। গোঘাট-১ ব্লকের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Arambag Goghat Block Hospital ) চিত্র এমনই। হাসপাতলে ইলেকট্রিক অফ হলে আউটডোর থেকে ইনডোর ঘুটঘুটে অন্ধকার। হাসপাতাল যেন ভৌতিক পরিবেশ। টর্চ লাইট জেলে বসে রয়েছেন ডাক্তারবাবুরা। রোগীর পরিবারের অভিযাোগ, আউটডোর থেকে ইনডোর লোডশেডিং হলে ঘুটঘুটে অন্ধকারে ডুবে যায়।
মোবাইলের টর্চ লাইট জেলে হাসপাতালে বসে আছেন ডাক্তারবাবু। হাতারে হাতারে রোগীদের দেখছেন। হাসপাতালের আউটডোর পরিসেবায় দীর্ঘ রোগীদের লাইন। বিদ্যুৎ না থাকায় আউটডোরের টিকিট ও হচ্ছে না। গোঘাট ১ নম্বর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিত্র এমনই। দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক বলছেন, হাসপাতালে বিদ্যুৎ না থাকলে জেনেটারের ব্যবস্থা নেই। অন্যান্য ফান্ড থেকে ম্যানেজ করে জেনেটার ভাড়া করতে হয়। স্টাফেরা পকেট থেকে পয়সা খরচা করে জেনারেটরের তেল কেনে। তবে সমস্যাটা একদিন আধদিন নয় বিগত ৪-৫ মাস ধরে সমস্যা। হাসপাতলের আউটডোরে দেখাতে আসা রোগীরা বলছেন চোখের সমস্যা নিয়ে দীর্ঘক্ষণ বসে আছি হাসপাতালে,ডাক্তার বাবু বলছেন ইলেকট্রিক না এলে দেখবো কিভাবে?
আরও পড়ুন: আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা
হাসপাতালের ভেতর ভাড়া করা জেনারেটর পড়ে রয়েছে, কিন্তু জেনেটার চলবে কিভাবে? জেনারেটারে তো তেল নাই। হাসপাতলে তেল কেনার মত টাকা নাই। কম্পিউটারে ডাটা এন্ট্রির কাজ হচ্ছেনা, তাও ইলেকট্রিকের অভাবে তাও বন্ধ। রোগীদের নামও এন্টি করা যাচ্ছে না। হাসপাতাল থেকে ইলেকট্রিক অফিসের দূরত্ব মাত্র প্রায় এক কিলোমিটার। আর সেই এলাকাতেই এই ছবি দেখা যাচ্ছে। তবে ডাক্তারবাবুর কোনও রকমে কিছু রোগীদের পরিষেবা দিতে পারছেন। তাও আবার হাসপাতালের আউটডোর থেকে বেরিয়ে এসে প্রকৃতির আলোতে। হাসপাতালের B M O H বলছেন সমস্যার কথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি কিন্তু সমাধান না হলে আমাদের তো কিছু করার নাই।
অন্য খবর দেখুন