নয়াদিল্লি: জিনিস কেনার ক্ষমতা কমছে। মুদ্রাস্ফীতির জেরে নিম্ন মধ্যবিত্ত ভুগছেন। তাঁদের খাবার জিনিস কিনতেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। কাজে বেতনও বাড়ছে না। সেটাই সবচেয়ে সমস্যার বলে মন্তব্য করলেন বণিকসভা ফিকির (FICCI) নতুন প্রেসিডেন্ট হর্ষ বর্ধন আগরওয়াল (Harsha Vardhan Agarwal)। সম্প্রতি তিনি সংবাদমাধ্যমে এই সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছেন, চ্যালেঞ্জটি নিম্ন-মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত এলাকায় বেশি (বিশেষ করে শহুরে এলাকায়)। গড় খুচরো কেনাকাটা দেখলে ৭৫ শতাংশ খাদ্য এবং মুদির ক্ষেত্রে ব্যয় হয়। ফলে খাদ্যে মূল্যবৃদ্ধি ব্যয়ের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলছে। আমরা সবাই জানি গত কয়েক মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে। বিশেষ করে সব্জি এবং তেলের ক্ষেত্রে। তবে আশাবাদী পরের ত্রৈমাসিকে বা তার পরে মুদ্রাস্ফীতির হার কিছুটা কমতে পারে। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, তুলনায় এফএমসিজি অর্থাৎ প্যাকেটজাত খাবার, প্রসাধন সামগ্রী, স্টেশনারি কেনার ক্ষেত্রে গ্রামীণ এলাকায় ভালো পরিস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
তাঁর মতে, গ্রাম এলাকা ভালোভাবে ফিরে আসছে। খরিফ শস্যের ভালো উৎপাদন হয়েছে। সম্প্রতি দেশের মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ভি অনন্ত নাগেশ্বরন উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন বেতন বৃদ্ধি না হওয়া নিয়ে। তিনি জানিয়েছিলেন এর প্রভাব পড়ছে দেশবাসীর ব্যয়ের ক্ষেত্রে। সেই প্রসঙ্গে আগরওয়াল জানান, বুঝতে হবে ইন্ডাস্ট্রির জন্য জনশক্তিই সবচেয়ে বড় সম্পদ। কোম্পানিগুলি জানে যে আজকের প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে গুণগত প্রতিভা ধরে রাখতে তাদের অবশ্যই ভালো বেতন দিতে হবে। উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির জমানায় দেশে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে বিভিন্ন মহল বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। যার জেরে পকেটে টান পড়ছে দেশবাসীর।
আরও পড়ুন: একটি মাত্র ভুলের খেসারত, দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট সংসদে বরখাস্ত
দেখুন অন্য খবর: