নয়াদিল্লি: ‘আমার মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে মেশিন দিয়ে’ এই যুক্তিকে উদ্ভট বলে সুপ্রিম কোর্ট (Supeme Court) এই মামলা খারিজ করে দিয়েছে। বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়া ও বিচারপতি আহসানউদ্দিন আমানুল্লাহ’র ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলায় আদালতের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে। মামলা খারিজ করে দিয়েছে আদালত।
আদালত সূত্রে খবর, আবেদনকারী একজন শিক্ষক।তাঁর অভিযোগ কিছু ব্যক্তি তার মস্তিষ্কককে অসাধু উপায়ে ব্যবহার করছেন। মামলাকারীর বক্তব্য, তারা তাঁর মস্তিষ্কের হেরফের করার জন্য হায়দ্রাবাদের সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্টিফিক ল্যাবরেটরি (সিএফএসএল) থেকে প্রাপ্ত একটি “মানব মস্তিষ্ক পড়ার যন্ত্রপাতি” ব্যবহার করেছেন। তিনি চান, আদালত সেই ডিভাইসটি নিষ্ক্রিয় করার আদেশ দিক। প্রথমে এই মামলাটি অন্ধ্রপ্রদেশের হাইকোর্টে দায়ের হয়।
আরও পড়ুন:আবগারি মামলায় ইডিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে কেজরিওয়াল
আদালতে মামলাকারী যুক্তি দেন, এই যন্ত্রটি তার মস্তিষ্কের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে তার অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করা হয়েছে। এই মামলায় সিএফএসএল ও সিবিআই যৌথভাবে হলফনামা দিয়ে জানিয়েছে কোনও ফরেন্সিক পরীক্ষা কখনও হয়নি মামলাকারীর। হাইকোর্টে ফরেন্সিক সংস্থা হলফনামা দিয়ে জানিয়ে দেয়, ওই ব্যক্তির মস্তিষ্কে নজরদারি বা নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কখনও মেশিন ব্যবহার করা হয়নি।
২০২২ সালে হাইকোর্ট (High Court) এই মামলা খারিজ করে দিয়ে জানিয়ে দেয় এই মামলার কোনও ভিত্তি নেই। মামলাকারী হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে বিশেষ ছুটির আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। চলতি বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ‘উদ্ভট যুক্তি’ বলে অভিমত জানায় শীর্ষ আদালত।
তবে অবিলম্বে আবেদনটি খারিজ করার পরিবর্তে, আদালত সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল সার্ভিসেস কমিটিকে (এসসিএলএসসি) নির্দেশ দেয় যে আবেদনকারীর উদ্বেগগুলি স্পষ্টভাবে বোঝার জন্য তার সঙ্গে মাতৃভাষায় কথা বলতে।
তবে চূড়ান্ত রায় সুপ্রিম কোর্ট তার অভিমত প্রকাশ করে বলেছে, মামলাকারী উদ্ভট যুক্তি দিচ্ছেন। আদালত মনে করেছে, এই বিষয় হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। মামলাটি খারিজ করে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
দেখন অন্য খবর: