নয়াদিল্লি: উপযুক্ত শিক্ষার অনুপযোগী মাদ্রাসা (Madrasa)। তাদের কর্মপদ্ধতি বিধিবহির্ভূত। সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) জানাল ন্যাশনাল কমিশন ফর প্রটেকশন অফ চাইল্ড রাইটস (এনসিপিসিআর)। ২০০৪ সালের উত্তর প্রদেশ বোর্ড অফ মাদ্রাসা এডুকেশন আইন খারিজ করে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। কিন্তু গত এপ্রিলে সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্টের সেই রায়ে স্থগিতাদেশ দেয়। এই মামলাতেই ওই অভিমত জমা পড়ল।
২০০৯ সালের রাইট টু এডুকেশন অ্যাক্ট বা শিক্ষার অধিকার আইনের এক্তিয়ারে পড়ে না মাদ্রাসা। ফলে মিড ডে মিল, ইউনিফর্ম, প্রশিক্ষিত শিক্ষক দ্বারা শিক্ষা পাওয়ার অধিকার ইত্যাদি আইনি সুযোগ থেকে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়ে চলেছে। দেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের জন্য চালু বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার সুযোগও তারা পাচ্ছে না।
আরও পড়ুন: খোলা মন নিয়ে আলোচনায় আসুন, ডাক্তারদের বার্তা চন্দ্রিমার
তিন ধরনের মাদ্রাসার উল্লেখ করেছে এনসিপিসিআর। ১. স্বীকৃত মাদ্রাসা- যেখানে ধর্ম শিক্ষার পাশাপাশি বিধিবদ্ধ শিক্ষার কিছুটা শেখানো হয়। এই প্রতিষ্ঠানগুলি রাজ্য মাদ্রাসা বোর্ড দ্বারা স্বীকৃত। যাদের ইউনিফায়েড ডিস্ট্রিক্ট ইনফরমেশন সিস্টেম ফর এডুকেশন কোড আছে।
২. অস্বীকৃত মাদ্রাসা- যেখানে বিধিবদ্ধ শিক্ষা ব্যবস্থার অস্তিত্ব নেই। পরিকাঠামোর ঘাটতি থাকায় রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেই।
৩. ভুয়ো মাদ্রাসা- যারা কখনোই রাজ্য সরকারের অনুমোদন নেওয়ার আবেদন করেনি। এনসিপিসিআর-এর নথি অনুযায়ী দেশের সর্বত্র এমন মাদ্রাসার সংখ্যা বিপুল। এখানে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী রয়েছে। এইসব প্রতিষ্ঠানে কেমন শিক্ষা দেওয়া হয়, শিক্ষা দেওয়ার পরিবেশ ও পরিকাঠামো আছে কিনা, তা জানা কঠিন। এখনকার শিক্ষার্থীদের তাই অশিক্ষিত হিসেবেই ধরা হয়।
জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থার মূল স্রোতের খুব অল্পই মাদ্রাসায় শেখানো হয়। মূলত ধর্মীয় শিক্ষাই প্রাধান্য পায়। সেখানে শিক্ষক নিয়োগ হয় বেসরকারি পরিচালক দ্বারা।
আরও খবর দেখুন