কলকাতা: মহারাষ্ট্রের (Maharashtra Assembly Election) ২৮৮ আসনে ও ঝাড়খণ্ড (Jharkhand Assembly Election) বাকি ৩৮ কেন্দ্রে শুরু হয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ঝাড়খণ্ডে দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ আজ। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের ৯টি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচন। এছাড়া কেরল, উত্তরাখণ্ড এবং পঞ্জাবের আরও ৬ আসনের বিধানসভা নির্বাচন চলছে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, সকাল ৯টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ১২.৭১ শতাংশ। মহারাষ্ট্রে সকাল ৯টা পর্যন্ত ৬.৬১ শতাংশ ভোট পড়েছে। সকাল থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটারদের লাইন চোখে পডার মতো। সাধারণ মানুষ স্বর্তস্ফুর্ত ভাবে ভোটে অংশ নিয়েছেন। মহারাষ্ট্রে মহাযুতি (Mahayuti NDA Block) নাকি মহা বিকাশ আঘাড়ি (Maha Vikas Aghadi) শেষপর্যন্ত মসনদ দখল কার দখলে থাকবে তা নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে ক্ষমতা দখল কারা রাখবে সেদিকেও নজর গোটা দেশের। আগামী শনিবার ভোটগণনা। এই দুই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে কী হতে চলেছে, সে দিকেই তাকিয়ে গোটা দেশ।
সকাল সকাল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকলকে ভোটদানে উৎসাহিত করে স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন। তিনি লেখেন, আজ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের সমস্ত আসনে ভোটগ্রহণ হবে। রাজ্যের ভোটদাতাদের কাছে আর্জি জানাচ্ছি আপনারা উৎসাহের সঙ্গে নির্বাচনের অংশ উঠুন এবং গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হন। তরুণ ও মহিলা ভোটদাতাদের কাছে আর্জি, আপনারা উদ্দীপনার সঙ্গে ভোট দিন। নির্বাচনের দিন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও কেন্দ্রীয় সরকারকে খোঁচা দিয়ে পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক সংকট এবং আপনি যে দৈনন্দিন সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছেন তার বিরুদ্ধে ভোট দিন। সংবিধান আপনাকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করার অধিকার দিয়েছে। আপনাদের ভোট দিয়ে দৈনন্দিন সমস্যা থেকে উদ্ধার পেতে এমন একটি সরকার বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে যা শুধুমাত্র আপনার জন্য কাজ করে।’
आज महाराष्ट्र विधानसभा चुनाव की सभी सीटों के लिए वोट डाले जाएंगे। राज्य के मतदाताओं से मेरा आग्रह है कि वे पूरे उत्साह के साथ इसका हिस्सा बनें और लोकतंत्र के उत्सव की रौनक बढ़ाएं। इस अवसर पर सभी युवा और महिला मतदाताओं से अपील है कि वे बढ़ चढ़कर वोट डालें।
— Narendra Modi (@narendramodi) November 20, 2024
আরও পড়ুন: দূষণ! দিল্লিতে এবার অনলাইন শুনানি, সমস্ত আদালতকে সুপ্রিম পরামর্শ
দুই রাজ্যে লড়াই এনডিএ এবং ইন্ডিয়া’র মধ্যে। মরাঠাভূমে লড়াই বিজেপি-শিবসেনা -এনসিপি (অজিত)-এর জোট ‘মহাযুতি’এবং কংগ্রেস-শিবসেনা (ইউবিটি)-এনসিপি (শরদ)-এর ‘মহাবিকাশ আঘাড়ী’র মধ্যে। গত পাঁচ বছরে মহারাষ্ট্রে রাজ্য-রাজনীতিতে নাটকীয় পট পরিবর্তন হয়েছে। তিনজন মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন পাঁচ বছরে। তারমধ্যে বিজেপির দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ মাত্র তিনদিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছিলেন। পরে শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে এবং একনাথ শিন্ডে। রাজনৈতিক মহলের মতে এ বারের নির্বাচনে দুই শিবিরের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। তাই মহারাষ্ট্রের ভোটে এই সব আঞ্চলিক দল বড় ‘ফ্যাক্টর’ হয়ে উঠতে পারে।
অন্যদিকে, ঝাড়খণ্ডেও ক্ষমতার দখলের লড়াইয়ে জোর টক্কর চলছে ‘ইন্ডিয়া’ এবং ‘এনডিএ’-র মধ্যে। ঝাড়খণ্ডে পাঁচ বছর সরকার চালাচ্ছেন ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার হেমন্ত সরেন। তাঁর জোট সঙ্গী কংগ্রেস ও আরজেডি। আদিবাসী বহুল রাজ্যটিতে এবার বিধানসভা ভোট নয়া মাত্রা পেয়েছে বিজেপির অনুপ্রবেশ ইস্যুকে ঘিরে। আদিবাসীদের জমি-বাড়ি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীরা দখল করে নিয়েছে নির্বাচনী প্রচারে এই ইস্যুতেই ঝড় তুলেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের ধরনা ঝাড়খণ্ডে এই ইস্যুতে বাজিমাতচ করবে তারা। একবার ইস্যু কাজ করে গেলে পরবর্তিতে বিহার ও পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার ভোট তা বিজেপির কাছে এক্স ফ্যাক্টর হবে।
অন্য খবর দেখুন