কলকাতা: মহেশতলায় (Maheshtala) দুর্গাপুজোর (Durga Puja) ভাসানকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল। মারধরের অভিযোগ উঠল কাউন্সিলরের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। ঘটনায় এক অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। মহেশতলা পুরসভার (Maheshtala Municipality) ১০ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর থানা এলাকার লালাবাগান ঝিলপাড় এলাকার ঘটনা। অভিযোগ সোমবার প্রতিমা ভাসানের সময় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ওঠে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুমন রায়চৌধুরীর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এরপর আজ স্থানীয়রা এক অভিযুক্তকে ধরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। এরপরই পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে। পুলিশের গাড়ি দীর্ঘক্ষণ আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন: কঙ্কালীতলায় ত্রয়োদশীতেই ৫১ কুমারী পুজোর রীতি
এলাকার স্থানীয় মহিলাদের আরও অভিযোগ অভয়াকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় তাদের উপর নানান ভাবে হেনস্থা করা হয় এবং তাদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আনুমানিক ৩ ঘন্টা পর অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। পাশাপাশি দুর্গাপুজোর দখল নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে কাউন্সিলর এবং তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে। রাত হলেই ওই এলাকায় বহিরাগত ছেলেরা নানান অসামাজিক কাজকর্মে লিপ্ত হয়। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন স্থানীয় মহিলারা। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমন রায়চৌধুরীর জানান পুজোর বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুটো ক্লাবের বচসা হয়। বচসা ও হাতাহাতির সময় আমি গিয়ে ছাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করি, ধাক্কা খেয়ে আমি আবার চলে আসি। আজ হঠাৎ শুনছি গন্ডগোলে নাকি আমার মদত ছিল। এটা মিথ্যা অভিযোগ। কেউ কেউ উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে করছে। তৃণমূল কাউন্সিলর সুমন রায়চৌধুরী অনুগামী অলক বিশ্বাস, মন্টি, ছোটন, প্রসেনজিৎ ঘোষ,বাবাই এর বিরুদ্ধে অভিযোগ।
অন্য খবর দেখুন