কলকাতা: হিংসার আগুনে জ্বলছে বাংলাদেশ। পদত্যাগ করে সে দেশ ছেড়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কলকাতার মারক্যুইস স্ট্রিটে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকরা পথে নেমেছেন। এই পরিস্থিতিতে সবাইকে শান্ত থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, উস্কানিমূলক কথা ছড়াবেন না। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, নেতাদের সঙ্গে জনগণকেও বলব শান্তি রক্ষা করুন। ভারতও একটা দেশ, বাংলাদেশও একটা রাষ্ট্র। বাংলাদেশ আমাদের প্রতিবেশী দেশ, সেখানে যদি কিছু হয় তাঁর একটা প্রভাব পাশের রাজ্যে পড়ে। সেক্ষেত্রে শান্ত থাকতে হবে।
বাংলাদেশে ঐতিহাসিক পালাবদল। সংসদে হামলা, শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) বাড়িতে লুঠ-হামলা, বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, সবাইকে শান্ত থাকতে অনুরোধ করছি। কোনও সাম্প্রদায়িক আচরণ করবেন না। আইন হাতে তুলে নেবেন না। বিষয়টা ভারত সরকারের অধীনে। ওরা যা সিদ্ধান্ত নেবে আমরা মেনে চলব। শুধুমাত্র রাজ্যের জনগণ নয়, সমস্ত রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের অনুরোধ করছি, দয়া করে করে এমন কোনও কিছু পোস্ট করবেন না যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এখানে নষ্ট হয়। আপনারা এমন কোনও মন্তব্য করবেন না যাতে হিংসা ছড়ায়। সব দলের নেতাদের বলছি, বিষয়টা ভারত সরকারের উপর ছেড়ে দিন।
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার ছায়া বাংলাদেশে, জনরোষে ভাঙচুর রাষ্ট্রপ্রধানদের বাসভবন
শেখ হাসিনার পদত্যাগ চেয়ে কারফিউ অমান্য করে হাজার হাজার আন্দোলনকারী প্রতিবাদ মিছিলের জন্য রাস্তায় নেমেছেন। সোমবার প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ‘গণভবন’ দখল নেয় লক্ষ লক্ষ সাধারণ মানুষ। এরপরই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে বোন রেহানাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। দেশ ছাড়ার আগে জাতির উদ্দেশে একটা বক্তব্য রেকর্ড করতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁকে সেই সুযোগও দেওয়া হয়নি। পরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন সে দেশের সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ-জামান। তিনি বলেন, প্রতিটি হত্যার বিচার হবে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন হবে।
দেখুন ভিডিও