দার্জিলিং: বুধবার দার্জিলিঙের (Mamata Banerjee Darjeeling) সরস মেলার উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee)। মেলা থেকে পাহাড়ের স্কিল ডেভলপমেন্টের উপর জোর দেওয়ার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ে কর্মসংস্থানের ও পর্যটনের সমৃদ্ধির উপরেও জোর দিলেন মমতা। মঙ্গলবার জিটিএ বৈঠকের পর মমতা জানিয়েছিলেন, পাহাড়ে অনেক প্রতিভাবান ছেলেমেয়েদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্য়ে এবার সরকারি পোর্টাল চালু হবে। স্কিল ডেভেলপমেন্টের জন্য সরকারি তরফে চারটি সেন্টারও চালু করা হবে। বুধবার সরস মেলা উদ্বোধনেও স্কিল ডেভেলপমেন্টের উপর জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মেলা উদ্বোধনের পর মমতা বলেন, এখানকার মহিলারা রোজগেরে হয়েছেন। নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছেন, এতে আমি খুশি। প্রচুর স্কিম আমরা করেছি। কন্যাশ্রী, শিক্ষা শ্রী, স্টুডেন্ট স্মার্ট কার্ড। সবাইকে শিশু দিবসের আশীর্বাদ জানাই। মমতা বলেন, এখানকার চা খুব ভালো। আমেরিকা গিয়েছিলাম, ওখানে দেখলাম ওয়েটিং লাউঞ্জে যো চা দেওয়া হচ্ছিল তাতে দার্জিলিং টি লেখাছিল। খুব ভালো লাগল। কেউ কেউ খারাপ চা বিক্রি করছেন, এতে দার্জিলিং চায়ের নাম খারাপ হচ্ছে। এই সব আমি বরদাস্ত করব না। একটা সিস্টেম আমরা তৈরি করব যেখানে দার্জিলিংয়ের চায়ের কেউ বদনাম করতে না পারে।
আরও পড়ুন: রাহুল লোহার উপর হামলা, টুইটে তৃণমূলকে বিঁধলেন অমিত মালব্য
মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার কথাও উঠে আসে। মমতা বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নের জন্য় কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেয় না। পাহাড়ের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, ১৪০০ জনকে হোমস্টের জন্য ইনসেনটিভ দেওয়া হয়েছে। এদিন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর প্রশংসা করেন মমতা। তিনি বলেন, “আমাদের রাজ্যে এখন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সংখ্যা ১২ লাখ, অন্য কোনও রাজ্যে নেই। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর জন্য ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যাঙ্ক ঋণের ব্যবস্থা করেছে রাজ্য। জিটিএ এলাকায় ১১ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠী তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে মমতা আরও বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের টাকা দেয় না। মুখেই শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু কিছু কাজ করে না। এখন মিথ্য়ের রাজত্ব। আমাদের প্রার্থী কীভাবে জিতবে। ও তো মিথ্যে বলতে পারে না। ভোটের সময় ওরা আসে আর টাকা বিলি করে। জিটিএর জন্য, পাহাড়ের জন্য কিছু করে না। ওরা ভোটের সময় কাজ করে। আর আমরা সারা বছর কাজ করি। আমাদের তৃণমূলের সঙ্গে অনীত থাপার অ্যাডজাস্টমেন্ট আছে। আমি চাই তিনি এগিয়ে যান। এখানে একটা সময় ছিল যখন অশান্তি হত। আমরা পাহাড়ে শান্তি চাই। উন্নতি চাই। হিল ইউনিভার্সিটি করেছি।
অন্য খবর দেখুন