কলকাতা: আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Case) ‘বিচারের দাবি’তে কর্মবিরতিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা। মঙ্গলবার বিকেল ৫ টার মধ্যে চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবারই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) বলেন, ‘পুজোতে ফিরে আসুন, উৎসবে ফিরে আসুন। রাস্তা আটকালে সবার অসুবিধা হয়। এদিন মমতাকে বলতে শোনা যায়, যদি কথা বলে মধ্যস্থতা করতে চান তো সেটাও জুনিয়র ডাক্তাররা জানাতে পারেন। কারও বিরুদ্ধে কেস দিইনি বলে সেটাকে দুর্বলতা ভাববেন না।
আরজি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে দীর্ঘ একমাসের কাছাকাছি ডুনিয়র চিকিৎসকরা কর্মবিরতিতে (Doctor Strike RG Kar Issue) রয়েছেন। ডাক্তারদের ২৮ দিনের কর্মবিরতিতে ৬ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। অভিযোগ উঠেছে, ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বিনা চিকিৎসায়। এরপরই শীর্ঘ আদালত জুনিয়র চিকিৎসকদের মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে কাজে যোগ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর নবান্ন প্রশাসনিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, চিকিৎসকরা কথা বলতে চাইলে জানানো হোক। মমতা বলেন, আমরা কিছু পাল্টা করছি না, একতরফা হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রতিদিন রাতে আপনারা যদি রাস্তায় থেকে, অনেক মানুষ তো বিরক্ত হয়, অনেক বয়স্ক মানুষ আছে, মাইক লাগালে ঘুমের অসুবিধাও হয়। সুপ্রমিক কোর্টের অর্ডারকে সম্মান দিয়ে পুলিশ কিছু করেনি। মি অনুরোধ করব, পুজোতে ফিরে আসুন। উৎসবে ফিরে আসুন।
আরও পড়ুন: ডাক্তারদের কাজে ফেরার ডেডলাইন বেঁধে দিল সুপ্রিম কোর্ট
নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের কাছে মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, অনেকে এখানে কাজ করছেন না। কর্মবিরতিতে রয়েছেন। কিন্তু প্রাইভেট হাসপাতালে গিয়ে কাজ করছেন। এটা কি সত্যি? স্বাস্থ্যসচিব জবাবে বলেন, বেশ কয়েকজনের নামও উঠে এসেছে। একইসঙ্গে তথ্য দিয়ে নারায়ণস্বরূপ নিগম জানান, ৭ লক্ষ মানুষ আউটডোরে পরিষেবা পাননি। প্রায় ৭০ হাজার জনকে ইন্ডোর অ্যাডমিশনের পরিষেবা দেওয়া যায়নি। সার্জারির কথা থাকলেও ৭ হাজারের বেশি সার্জারি করা যায়নি। দেড় হাজারের বেশি মানুষকে ক্যাথ ল্যাবে পরিষেবা দেওয়া যায়নি। টালা থানার ওসি কিছুদিন আগে একাধিক নার্সিংহোমে ঘুরেও ভর্তি হতে পারেননি। এদিন মমতা বলেন, পুলিশের একজন ওসি তোমার কাছে রোগী হিসাবে গিয়েছে। তুমি তাকে ভর্তি নাওনি। এদের কথা মনে রাখতে হবে।
দেখুন ভিডিও