কলকাতা: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের জেরে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে ৫ অগাস্ট দেশত্যাগ করেন শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। তারপর থেকে হাসিনা ঘনিষ্ঠ অনেককেই বাংলাদেশে (Bangladesh) জনসমক্ষে দেখা যাচ্ছে না। খোঁজ নেই রাজনৈতিক নেতা, পুলিশ কর্তা, বিচারপতি সহ অনেকের। মনে করা হচ্ছিল, তাঁরা আত্মগোপন করে আছেন। অথবা গোপনে দেশ ছেড়েছেন। দেশে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার (Interim Government)। আওয়ামি লিগের নেতা সহ শেখ হাসিনা ঘনিষ্ঠ অনেকের বিরুদ্ধেই পুলিশে মামলা হয়েছে ইতিমধ্যে। এবার বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ আইএসপিআর বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল, সেসময় অনেকে প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে সেনাবাহিনীর দ্বারস্থ হন। এরকম ৬২৬ জনকে সেনা শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়। তাঁরা যাতে বিচারবহির্ভূত হত্যার স্বীকার না হন সেজন্য এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়। তবে ইতিমধ্যে তার মধ্যে ৬১৫ জনকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা থাকায় তাঁদের পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে এই বিজ্ঞপ্তিতে কারও নাম উল্লেখ করা হয়নি।
অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে ইতিমধ্যে প্রাক্তন মন্ত্রী সহ অনেকেই গ্রেফতার হয়েছেন। সাধারণ মানুষের কৌতূহল, বাকি যাঁদের দেখা যাচ্ছে না তাঁরা কোথায় আছেন? যেমন তার মধ্যে আওয়ামি লিগের সাংসদ তথা জনপ্রিয় অভিনেতা ফিরদৌস আহমেদ, প্রাক্তন পুলিশ কর্তা হারুন উর রশিদ, আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সহ অনেকের নাম রয়েছে। উল্লেখ্য, শেখ হাসিনার পদত্যাগের ঘোষণা করেছিলেন বাংলাদেশের সেনা প্রধান ওয়াকার উজ জামান। তারপর থেকে সেনাশাসনে বাংলাদেশ। আন্দোলনরত ছাত্র জনতা প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন চলোর ডাক দিয়েছিল। সূত্রের খবর, শোনা গিয়েছে, সেই মিছিল আটকাতে দেশবাসীর উপর গুলি চালাতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছিল সেনা। তারপরই পদত্যাগ করেন হাসিনা। তবে তাঁকে প্রাণ বাঁচাতে দেশত্যাগের জন্য সব আয়োজন করে দিয়েছিল সেনাই।
আরও পড়ুন: ইলেকট্রিক গোডাউনে আগুন, ঘটনাস্থলে দমকল বাহিনী ও পুলিশ
আরও খবর দেখুন