রিয়া মাজী, কলকাতা: না, শুধু সাক্ষী হিসেবে নয়। লালবাজারে ৭ জনকে চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর ৭জনের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, ফের এই ৩ জনকেই আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার লালবাজারে তলব করা হয়েছে। কিন্তু বাকি ৪ জনকে এখনও লালবাজারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর।
কিন্তু কোন ৭ জন?
আরজি কর কাণ্ডে (RG Kar Hospital Incident) ঘটনার দিন যাঁরা অনডিউটিতে ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে চলছে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ। এই ৭ জনের মধ্যে রয়েছেন নিহত তরুণীর সঙ্গে রাতে যাঁরা খাবার খেয়েছিলেন তাঁরা।
এই জিজ্ঞাসাবাদ কারা করছেন?
সূত্রের খবর, লালবাজারের (Lalbazer) শীর্ষ পুলিশকর্তারা রয়েছেন এই জিজ্ঞাসাবাদে পর্বে।
বিশেষ নজর কাদের ওপর?
যাঁরা রাতের খাবার খেয়েছিলেন তাঁদের ওপর। অর্থাৎ ১ জন ইন্টার্ন, ১ জন হাউজ স্টাফ এবং ২ জন চেস্ট মেডিসিন বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। এমনকী রাত ৩টের সময় যে দু’জন ঘুমানোর জন্য ডেকেছিলেন তাঁদের থেকে পুরো সময়ের ঘটনা জানার চেষ্টা চলছে।
তবে, আরজি কর-কান্ডে ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ারকে হেফাজতে নিয়ে টানা জেরা করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে চলছে মৃতার সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়নাতদন্ত রিপোর্টের বিশ্লেষণ। যা থেকে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ দাবি করছে, মৃতার শরীরের কোনও হাড় ভাঙা (ফ্র্যাকচার) নেই। যদিও শরীরের উপরিভাগে ক্ষত রয়েছে। প্রসঙ্গত, ঘটনার পরে প্রথম থেকেই কোনও কোনও মহল থেকে দাবি করা হচ্ছিল, মৃতার ‘পেলভিক বোন ’বং ‘কলার বোন’ ভাঙা অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে বিভিন্ন তত্ত্ব তৈরি হচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের এই প্রাথমিক দাবি পুরো বিষয়টির মোড় খানিকটা হলেও ঘুরিয়ে দিতে পারে বলে অনেকে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: আরজি কর-কাণ্ডে ডেডলাইন মুখ্যমন্ত্রীর, না হলে সিবিআইকে তদন্তভার
এমনকী, ধৃতের ডিএনএ নমুনা ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে পরীক্ষার জন্য। পাশাপাশিই, পুলিশ বিভিন্ন ফুটেজ ইত্যাদি খতিয়ে দেখে বার করার চেষ্টা করছে যে, ঘটনাস্থলে ধৃত একা ছিলেন, না তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জন ছিলেন। কারণ, মৃতার শরীরের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ থেকে এমন ধারণা জোরালো হচ্ছে যে, ধৃতের একার পক্ষে ওই ঘটনা ঘটানো কঠিন। পুলিশ তা-ই সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে।
এছাড়া মৃত তরুণীর প্রাইভেট পার্ট থেকে যে ১৫০ গ্রাম ফ্লুয়িড পাওয়া গিয়েছে সেটাও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসকমহলের ধারনা, এতটা ফ্লুয়িড এক জনের হতে পারে না। যা নিয়ে রহস্য আরও ঘণীভূত হচ্ছে।
অন্য খবর দেখুন