ওয়েবডেস্ক- ফের বালুচিস্তানে (Balochistan) হামলার শিকার পাকিস্তানের (Pakistan) জাফর এক্সপ্রেস (Jaffar Express) । বিস্ফোরণে (Explosion) লাইনচ্যুত জাফর এক্সপ্রেসের (Derailed Jaffar Express) ছটি বগি। আগে থেকেই ট্রেনলাইনে IED plant করে রাখা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পাক পুলিশের। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পাকিস্তান পুলিশ ও সেনাবাহিনীর জওয়ানরা।
কোয়েটা থেকে পেশোয়ারের দিকে যাচ্ছিল জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটি। ঘটনাটি ঘটে বুধবার সকালে সিন্ধ -প্রদেশের জাকোদাবাদের কাছে। বোমা বিস্ফোরণের কারণে উড়ে গেছে রেল লাইনের বড়সড়ো অংশ। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাকিস্তান সরকারের সূত্রে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
উদ্ধারকার্য চলছে এবং কি জাতীয় বিস্ফোরক ব্যবহার করা হয়েছে, কিভাবে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে, কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত, তার তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন- ইরানের তেল ভাণ্ডার-শোধনাগারে হামলা ইজরায়েলের, দাউ দাউ করে জ্বলছে আগুন
গত ১১ মার্চ ২০২৫ বালোচ বিদ্রোহীদের দ্বারা এই জাফর এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে হাইজ্যাক করা হয়। ট্রেনটি করে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর জওয়ানরা যাচ্ছিলেন। সে সময় বালোচ বিদ্রোহীদের সঙ্গে ট্রেনে থাকা পাক জওয়ানদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ে ১৮ জন পাকিস্তানি সেনা এবং তেইশ জন বালোচ বিদ্রোহীর মৃত্যু হয়।
আজ সকালে ফের জাফর এক্সপ্রেস এর রেল লাইন এর ওপর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা প্রমাণ করে পাকিস্তান সরকার ও সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে বালোচ বিদ্রোহীদের এ ধরনের নাশকতামূলক কাজের তীব্রতা আর তীব্রতর হবে।
ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোটা এলাকাটি ঘিরে ফেলেছে। কী কারণে এই বিস্ফোরণ নেপথ্যে কার হাত আছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, বালুচিস্তানের রাজধানী কোয়েটা থেকে খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের রাজধানী পেশোয়ার রেলপথে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার। পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রতিদিনই যাতায়াত করে জাফর এক্সপ্রেস। ওই ট্রেনে কোয়েটা থেকে পেশোয়ার যেতে সময় লাগে ৩০ ঘণ্টা।
গত মার্চ মাসেও হামলা হয়েছিল এই জাফর এক্সপ্রেসে। পুরো ট্রেনের দখল নিয়ে ফেলেছিলেন বালোচ বিদ্রোহীরা। তবে এই দুর্ঘটনার কারণ স্পষ্ট নয়। এই বিস্ফোরণের পিছনে বালোচ বিদ্রোহীদের হাত আছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। ঘটনা তদন্ত শুরু হয়েছে।
দেখুন আরও খবর-