ইম্ফল: দফায় দফায় বিক্ষোভ, পালটা প্রতিবাদে উত্তপ্ত মণিপুর। শান্ত পাহাড়ি রাজ্যটি যেন একটি আগ্নেয়গিরিতে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ফের কুকিদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি সহ আফস্পা তুলে নেওয়ার দাবিতে পথে নামল বেশ কয়েকটি মেইতেই সংগঠন। ইম্ফলের বেশ কিছু জায়গায় প্রতিবাদ বিক্ষোভ দেখায় বিক্ষোভকারীরা। জিরিবামে তিন শিশু সহ ৬ নাগরিকের হত্যার পরেও কুকিদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না তার প্রতিবাদে সোচ্চার হয় সংগঠনগুলি।
মিরা পাইবিসের মতো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত বিক্ষোভকারীরা রাজ্যের ছয়টি থানার অধীনস্থ এলাকায় AFSPA পুনরায় আরোপের বিরুদ্ধে অবস্থান বিক্ষোভ দেখায়।
আরও পড়ুন: লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়াতে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিজেপি সাংসদের
রাজ্যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে ওয়াইখম মানি কলেজ থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে থৌবাল জেলার থৌবাল মেলা মাঠে একটি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। অল থৌবাল ইউনাইটেড ক্লাবস অর্গানাইজেশনসহ বেশ কয়েকটি সংগঠন এ সমাবেশের আয়োজন করে। অন্যদিকে বুধবার ভোরে একটি গাড়ির শো রুমের আউটলেটে দুষ্কৃতী তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। আজ কর্মচারীরাও দুষ্কৃতী হামলার নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ জানায়।
উল্লেখ্য, এই মাসের শুরুর দিকে মেইতেই চরমপন্থীদের দ্বারা জিরিবামের একজন কুকি উপজাতি মহিলাকে নৃশংসভাবে হত্যার পর ফের নতুন করে হিংসাত্মক দাঙ্গা শুরু হয়। মহিলার স্বামীর দায়ের করা একটি এফআইআর অনুসারে, জিরিবাম জেলার একটি গ্রামে হামার উপজাতি সম্প্রদায়ের অন্তর্গত অন্যান্য আদিবাসীদের বাড়িতে হামলা চালায়। মেইতেই জঙ্গিরা তার স্ত্রীকে নির্মমভাবে ধর্ষণ করে জীবন্ত পুড়িয়ে মেরেছিল। এর পরে সিআরপিএফ এবং পুলিশ সদস্যরা উপজাতি ১০ জন মহিলা গুলি করে হত্যা করে তাদের জঙ্গি বলে দাবি করে। তার কয়েকদিন পরে মেইতেই পরিবারের তিন মহিলা সহ তিন শিশু নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। কুকিদের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। পরে তাদের দেহ উদ্ধার হয় জিরিবাম ও অসমের বরাক নদীর ধার থেকে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ নভেম্বর জিরিবাম সহ মণিপুরের ৬ টি থানা এলাকায় নতুন করে আফস্পা লাগু করে কেন্দ্র সরকার। বর্তমানে, ১৩টি থানার আওতাধীন এলাকা ছাড়া সমগ্র রাজ্য আফস্পা -এর অধীনে রয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: