কলকাতা: মঙ্গলবারের নবান্ন অভিযানের (Nabanna Abhiyaan) জন্য কোনও সংগঠন পুলিশের থেকে অনুমতি নেয়নি। অনুমতি ছাড়া নবান্ন অভিযান বেআইনি। সোমবার সাংবাদিক বৈঠকে জানালেন, রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলা মনোজ বর্মা (Manoj Verma)। পুলিশের তরফে জানান হয়েছে, নবান্ন অভিযানের পিছনে দুষ্কৃতীরা রয়েছে। কিছু দুষ্কৃতী অশান্তির ছক কষেছে। সাধারণ মানুষের আবেগকে কাজে লাগিয়ে শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করতে চাইছে দুষ্কৃতীরা। মহিলা ও ছাত্রছাত্রীদের মিছিলের অগ্রভাগে রেখেই গন্ডগোল করে ফায়দা তুলতে চাইছে দুষ্কৃতীরা।
এডিজি দক্ষিণবঙ্গ সুপ্রতিম সরকার (Supratim Sarkar) জানান, নবান্ন সংলগ্ন এলাকায় মিছিল করতে হলে অনুমতি চাইতে হয়। নবান্ন সংরক্ষিত এলাকা। এখানে সাধারণত কোনও কর্মসূচির অনুমতি দেওয়া যায় না। এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে, তারা যদি অন্য কোথাও করত তাহলে আমাদের আপত্তি নেই। এমনকী সংগ্রামী যৌথ মঞ্চকেও বলা হয়েছে মিছিলের জন্য অনুমতি চাইতে। কোনও ছাত্র সংগঠনের থেকে এখনও অনুমতি চাওয়া হয়নি বলে এই কর্মসূচী বেআইনি। ১৪৪ ধারার মতো নবান্নে এখন ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী এই ধারা বলবৎ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:নবান্ন অভিযানে অশান্তি এড়াতে মোতায়েন বাড়তি পুলিশ
পুলিশ সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ ছাত্রসমাজের নামে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়েছে। তবে এমন কোনও সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। এই আন্দোলন অরাজনৈতিক। অথচ এদের নামে যে ফেসবুক পেজটা আছে সেখান থেকে পরিষ্কার কে বা কারা নেপথ্যে রয়েছে। কোনও এক রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে পাঁচতারা হোটেলে বৈঠক করেছে বেশ কয়েকজন। নবান্ন অভিযানের নামে অশান্তি পাকানোর ছক। দুই ছাত্র সংগঠনই বেআইনি। এরা স্যোশাল মিডিয়ায় উত্তেজনা ছড়ানোর পোস্ট করছে। সাধার মানুষের কাছে অনুরোধ কোনও রকমের প্ররোচনায় পা দেবেন না। পুলিশের তরফে সাফ জানানো হয়, সাধারণ মানুষ যাতে এই অভিযান থেকে দূরে থাকেন।
দেখুন ভিডিও