হুগলিঃ বলাগড়ের গুপ্তিপাড়ায় ঘটল এক অঘটন। বাড়ির শৌচালয় থেকেই উদ্ধার করা হল বছর চারেক শিশুর দেহ। ২০ ঘণ্টা নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার হয় তার দেহ।
শনিবার সকালে বাড়ির সামনে খেলার সময় রহস্যজনকভাবে এলাকা থেকে উদ্ধাও হয়ে যায় সে। তারপর থেকেই খোঁজও খোঁজও রব ওঠে কিন্তু সেই শিশুকে কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়না। অবশেষে দীর্ঘ ২০ ঘণ্টা তল্লাশির পর অবশেষে উদ্ধার হয় শিশুর দেহ রবিবার সকালে বাড়ির শৌচালয় থেকে। শিশুর মৃত দেহ উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় পুলিশ। ইতিমধ্যেই, পুলিশের তৎপরতায় শিশুর দেহ উদ্ধার করে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
আরও পড়ুনঃ এশিয়া, ইউরোপের পর যুদ্ধের দামামা বাজবে আফ্রিকায়?
উল্লেখ্য, শনিবার সকালেই বছর চারের নাবালক নিখোঁজ হওয়ার পর, ২০ ঘণ্টা ধরে নিখোঁজ শিশুর খোঁজ চালায় পুলিশ। নিখোঁজ নাবালকের বাড়িতে উপস্থিত হন হুগলি গ্রামীণ পুলিশের অতিরিক্ত সুপার কল্যাণ সরকার, ডিএসপি অভিজিৎ সিংহ মহাপাত্র। নিখোঁজ শিশুর দ্রুত তদন্তে হুগলি গ্রামীণ পুলিশের সোশ্যাল মিডিয়া পেজেও করা হয় পোস্ট।
পুলিশি তদন্তে কুকুর এনে, ড্রোন উড়িয়ে চালানো হয় তল্লাশি। রবিবার সকালে শৌচাগারে নাতির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন ঠাকুরদা। আর তারপরই সন্দেহ বারে পুলিশের। ঠাকুরদা, ঠাকুমা ও জেঠিমার আলাদা আলাদা করে বয়ান রেকর্ড করে পুলিশ। কিন্তু সেই বয়ানে অসঙ্গতি মেলায় তাঁদের ইতিমধ্যেই আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শিশুর মা-বাবার সঙ্গে ঠাকুরদা-ঠাকুমা-জেঠিমার সম্পর্ক দীর্ঘদিন ধরেই ভালো নয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ, দুই পক্ষের সম্পর্ক ভালো না হওয়ায় বাড়ির ভিতরেই কিছু ঘটে থাকতে পারে। স্থানীয় বাসিন্দাদের এই বয়ানের পর স্পষ্টতই পুলিশের সন্দেহ, পারিবারির বিবাদের জেরেই নাবালক খুন হয়েছে কিনা? তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তবে পুলিশ সূত্রে জানানও হয়েছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ, তবে কী কারণে খুন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
দেখুন অন্য খবর