কলকাতা: এবার মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) বোমা ফাটালেন। ‘গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই’ (Internal Conflict BJP) জেরে হার লকেট চট্টোপাধ্যায়ের (Locket Chatterjee)। লোকসভা ভোটের হারের পর লকেট চট্টোপাধ্যায় হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তুষার মজুমদারকে দোষারোপ করেছিলেন। এবার লকেটের হারে দলের গোষ্ঠীকোন্দলকেই দায়ী করল বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীও। ঘটনায় কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন বিজেপির সুকান্ত ,শুভেন্দু সহ রাজ্য নেতাদের। মিঠুনের এই বক্তব্যে পর গোটা রাজ্য নেতৃত্ব মুখে কুলুপ এঁটেছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে সদস্য সংগ্রহ অভিযানে শেষ দিকে মিঠুন চক্রবর্তী নামিয়ে কিছুটা ফয়দা লোটার চেষ্টা ছিল রাজ্য বিজেপি। কিন্তু হিতে বিপরীত হয়ে গিয়েছে। মিঠুনকে নিয়ে অন্য ভাবনা শুরুর কথা ভাবছে রাজ্য কমিটি।
শনিবার পান্ডুয়ায় দলের সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে এসে ছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। হুগলি জেলার দলের কর্মীদের সভায় মিঠুন চক্রবর্তী বলেন , আমরা জিততে পারেনি, এর একমাত্র কারণ নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বা গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। বঙ্গ বিজেপির কোন্দল জন্য লকেট এই সিটে হেরেছে। এখানে এক গোষ্টি অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সরব। সংগঠন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবাই যদি ঠিক ভাবে কাজ করতো তবে লকেটকে কেউ হারাতে পারত না। জেতা বিধানসভায় আমরা হেরেছি। এটা খুব দুঃখজনক।
আরও পড়ুন: মা ফ্লাইওভারে বারবার দুর্ঘটনা! বৈঠকে বসতে চলেছেন পুলিশ কমিশনার
কেমন চলছে হুগলি জেলা , তার উদাহরণ টেনে মিঠুন বলেন , সদস্য সংগ্রহ এই জেলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল তিন লক্ষ। হয়েছে ৫১ হাজার। আর কয়েকদিন হাতে সময়। সামনে দলের সাংগঠনিক বদল হবে। সেই কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে মিঠুন বলেন , বস (প্রধানমন্ত্রী) কে বলেছি , যারা কাজ করবে না তাদের সরিয়ে দেওয়া হবে। এই বক্তব্য বাইরে আসতেই প্রবল চাপে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব । মুখে কুলুপ অধিকাংশ নেতাদের। কর্মসূচিতে লকেট উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন তুষারও। মিঠুনের মন্তব্য নিয়ে লকেট বলেন, দাদা (মিঠুন) যা বলার বলেছেন। আমি কিছু বলব না। দলীয় ভাবে আলোচনা করা হবে।’’
দেখুন ভিডিও