ওয়েবডেস্ক: অবশেষে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বৈঠক করলেন। শুক্রবার ব্যাংককে বিমস্টেক বৈঠকের ফাঁকে তাঁদের আলোচনা হয়। সেখানে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। গত ৫ অগাস্ট বিক্ষোভের জেরে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। তারপর পদ্মাপাড়ের দেশে ইউনুসের নেতৃত্বে সরকার গঠন হয়। এই প্রথমবার পড়শি দেশের দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হল। বিশেষ করে ইউনুসের আমলে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর নির্যাতন নিয়ে বারবার সতর্ক করেছে ভারত। সম্প্রতি চীন সফরে ইউনুস ভারতের উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তারই মধ্যে এই বৈঠক। তবে এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বিষয়ে এদিন দুপুর পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। ইউনুসের তরফে আগেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়ে অনুরোধ করা হয়েছিল।
ইউনুসের আমলে বাংলাদেশে পাকিস্তানের সক্রিয়তা বেড়েছে। কট্টরপন্থীদের তাণ্ডব বেড়েছে। চীনের সক্রিয়তাও বাড়ছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪ হাজার কিলোমিটারের বেশি সীমান্ত রয়েছে। যার অনেকটাই এখনও কাঁটাতারহীন। বাংলাদেশে অস্থিরতা বাড়া ভারতের কাছে চিন্তার। বিশেষ করে সম্প্রতি বেজিং সফরে ইউনুস সেভেন সিস্টার্স বা ভারতের উত্তর পূর্বের সাত রাজ্য ও ভারত মহাসাগর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে চীনকে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে আহ্বান করেছেন। বাংলাদেশে স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতের বড় অবদান রয়েছে। এখন বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমানকে বাংলাদেশ থেকে মুছে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চিঠি দেন ইউনুসকে। এই বৈঠকের দিকে তাকিয়ে তথ্যাভিজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে বৃষ্টি! আর কোন উপায়ে কমবে দিল্লির দূষণ?
দেখুন অন্য খবর: