কলকাতা: আরজি কর-কাণ্ডে (R G Kar Hospital Incident) গ্রেফতার করা হয়ে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে। ছেলে এমন কাজ করেছে, তা বিশ্বাসই করতে পারছেন না অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের মা। ছেলের যে একাধিক বিয়ের কথাও তিনি শুনেছে। এমনকি ছেলে শেষ কবে বাড়িতে এসেছিলেন, তা-ও সঠিক ভাবে জানেন না। এই ঘটনার কথা তিনি জানতেন না ওর পিসি আমাকে প্রথম বলল। তার পর টিভিতে দেখলাম ছেলের ছবি দেখাচ্ছে। তাঁকে বিলাপের সুরে বলতে শোনা গেল, ছেলেকে জন্ম দিয়েই বিপদে পড়েছি। সঞ্জয়ের পড়শিদের সঙ্গে কথা বলে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের একটি গলিতে ওই যুবকের বাড়ি। গলির মধ্যে বাড়ি সঞ্জয়ের। এলাকাবাসীর কারুই অভিযুক্তের পরিবারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক নেই। সাংবাদিকদের দেখেই অভিযুক্তের মা বলে বলেন, কী হয়ে গেল! দেখে মনে হল মানসিক ভাবে খানিক বিধ্বস্ত। শেষ কবে ছেলের সঙ্গে দেখা হয়েছিল? মা উত্তর দিলেন, ওর পিসি জানে। ছেলে এটা কী ভাবে করতে পারে? ও তো বিয়ে করেছিল। ওর স্ত্রী তো ক্যানসার মারা যায়। অভিযুক্তের পাঁচ বিয়ে প্রসঙ্গে বৃদ্ধার বললেন, আমি একটা স্ত্রী বলেই জানি। এখন শুনছি অনেক বিয়ে। পাড়ার লোকজন বলছে। তারাই জানে। কোনও মেয়ের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে তাঁর ছেলে এটা শুনলেই এটা শুনলে তো দিতাম দুই ঘা। ছেলে মাঝেমধ্যে আসতেন। খাবার-দাবার নিয়ে যেতেন। কখনও ফোর্থ ব্যাটেলিয়ানে থাকতেন, কখনও দক্ষিণ কলকাতার ওই বৃদ্ধার বাড়িতে।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে কর্মবিরতি ইমামবাড়া হাসপাতালে
অভিযুক্তের দুই বোন পুলিশে কর্মরত বলে স্থানীয়েরা জানান। সঞ্জয়ের পড়শিদের জানায়, সঞ্জয়ের মা জানতেন ছেলে পুলিশে কাজ করে। সে যে সিভিক পুলিশ, সেই ধারণাও ছিল না। লকডাউনের পর আর পাড়ায় থাকে না সঞ্জয়। পুলিশের আর্মড ফোর্সে চাকরি করে বলে বহু মানুষের থেকে টাকাও তুলেছে সঞ্জয়। পুলিশে চাকরি দেওয়ার নামে অনেক মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। পড়শির দাবি, সঞ্জয় চরিত্রহীন। সে ধর্ষণ করতেই পারে। কাউকে বোন বলে ডেকেও ধর্ষণ করতে পারে সঞ্জয় বলে মত পড়শিদের। কেউ তাকে দাদা বলে ডাকলেও , তাকে ধর্ষণ করতে পারে সঞ্জয়
অন্য খবর দেখুন