কলকাতা: রাত ৩ টে ৪৯ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে মেল। কখনও এরকম সময় মেল আসে?এটা কী স্বাভাবিক। এর পিছনে কী কোনও রাজনীতি যুক্ত আছে? নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন থেকে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের উদ্দেশে প্রশ্ন খাড়া করলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য (Minister Chandrima Bhattacharya)। তিনি বলেন, জুনিয়র ডাক্তারদের বলব যে রাজনৈতিক প্ররোচনায় পা না দিতে। বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকে হাজির চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ছাড়াও হাজির ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ ও রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। এদিন তাঁরা ডাক্তারদের বার্তা দেন সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চিকিৎসকরা যাতে কাজে যোগ দিতে বলেন। তবে চিকিৎসকদের শর্ত নিয়ে আপত্তি আছে নবান্নের।
সুপ্রিম নির্দেশকে মান্যতা দেয়নি আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। তারপরও মুখ্যমন্ত্রী জুনিয়র ডাক্তারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেননি। জুনিয়র ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবন অভিযানের দ্বিতীয় দিন। ইতিমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের ডেডলাইন পেরিয়ে গিয়েছে। ডাক্তারদের সঙ্গে খোলা মনে আলোচনায় বসতে রাজি ছিলেন। তারপরও চিকিৎসকদের তরফে একাধিক শর্ত আরোপ করা হল। রাজ্য সরকারের বক্তব্য, গঠনমূলক আলোচনার জন্য মেল করা হয়েছিল। সেরকম কোনও ইতিবাচক সাড়া না মেলায় আজ বৈঠক করা হল না। মঙ্গলবার স্বাস্থ্যসচিব ইমেল করে বৈঠকের জন্য আহ্বান জানান। সেই চিঠির উত্তর ডাক্তাররা ৩টে ৪৯ মিনিটে মেল করে দেন। এটা সময় মেল করার? আসে?এটা কী স্বাভাবিক।
আরও পড়ুন: ছবির পোস্টার শেয়ার করতেই স্বস্তিকাকে বয়কটের ডাক
এদিন চন্দ্রিমা বলেন,গতকাল মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে অপেক্ষা করেছিলেন সন্ধে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না। কোনও শর্ত দিয়ে আলোচনা হয় না। খোলা মনে আলোচনায় বসতে চাই। শর্তসাপেক্ষে নয়। শর্ত আর খোলা মনে আলোচনা, একসঙ্গে চলে না। তাঁর দাবি, আসলে নির্যাতিতার বিচার চাওয়া হচ্ছে না, এর পিছনে রাজনীতি আছে বলেই মনে করছেন তিনি। আবারও বলতে চাই, রোগীর পরিষেবা বঞ্চিত করা যাবে না। রাজনৈতিক প্ররোচনায় যাবেন না।
দেখুন ভিডিও