নদিয়াঃ কথায় আছে বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ। তেরো পার্বণের সবকটির নাম জানা না থাকলেও সব পার্বণের শ্রেষ্ঠ পার্বণ দুর্গাপুজো। পঞ্চমী থেকে দশমী পুজোয় মেতে থাকেন আপামর বাঙালি। রাজ্যবাসীর দুর্গাপুজো, অবাঙালিদের নবরাত্রি। মহালয়ার পর দিন থেকেই নবরাত্রির দেবীর আরাধনা শুরু হয়ে যায়। বিপুল খরচ সহ নানাবিধ নিয়মকানুন থাকে এই নবরাত্রি পুজোতে। যে কারণে কোনও বারোয়ারি পুজোয় নবরাত্রির চল নেই। এই নবরাত্রি পুজো সাধারণত বনেদী বাড়ি বা পরিবারের বংশপরম্পরায় চলে আসে। যদিও আজকের দিনে দাঁড়িয়ে কুমারী পুজো বহু বাড়ি ও বারোয়ারীর পুজোতে চোখে পড়ে।
আরও পড়ুনঃ ঐতিহ্যই বাঁচিয়ে রেখেছে কাশিমবাজারের রায় বাড়ির পুজোকে
নবদ্বীপ শহরের ফাঁসিতলা এলাকায় রয়েছে ভট্টাচার্য পরিবারের বাড়ি। এখানে আজও বংশপরম্পরায় নিয়ম মেনেই দেবীর আরাধনা করতে শুরু হয় নবরাত্রির পুজো। এরপর ধীরে ধীরে পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী করে দশমীতে ভারাক্রান্ত মন নিয়ে মাকে বিদায় জানায় পরিবার। প্রতিবছর অষ্টমীর দিন আয়োজিত হয় কুমারী পুজো। ভট্টাচার্য পরিবারের নিয়ম প্রতি বছর নতুন নতুন কুমারী মেয়েদের ‘দেবী’ রূপে সাজিয়ে এই পুজোর আয়োজন করা হয়।
বর্তমানে পুজোর দায়িত্বে থাকা সজল কর ভট্টাচার্য জানান, ‘ এটা আমাদের পূর্ব পুরুষের শুরু করা পুজো। বর্তমানে আমরা দায়িত্ব নিয়ে করছি। এটা আমাদের পরিবারের উদ্যোগে পুজো হলেও মায়ের টানে শুধু স্থানীয় নয় ভিন রাজ্য এমনকী বিদেশ থেকেও বহু ভক্ত এই পুজোয় সামিল হতে ছুটে আসেন।’ উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে নবদ্বীপ শহরে যে ক’টা বনেদি পুজো হয়, সেখানে কুমারী পুজো হলেও নবরাত্রি পুজো হয় না বললেই চলে!
দেখুন অন্য খবরঃ