মুম্বই: বিগত কয়েকদিন ধরে বিমানে বোমাতঙ্ক (bomb attack on plane) ছড়িয়ে উড়ো ফোন আসছিল। ঘটনা ঘিরে দেশজুড়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। অবশেষে ঘটনার মূল চক্রীকে হিসেবে এক ব্যক্তিকে পাকরাও করে পুলিশ। নাম জগদীশ উইকে (Jagadish Uikey) নাগপুরের (Nagpur) বাসিন্দা। বয়স ৩৫ বছর। দিল্লি থেকে নাগপুর ফেরার পথে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত পেশায় একজন লেখক বলে জানা গেছে।
মহারাষ্ট্রের মাও অধ্যুষিত গোন্দিয়া জেলার বাসিন্দা এই জগদীশ। বেশ কয়েকদিন ধরেই এই হুমকি নায়কের উড়ো ফোনে জেরবার পুলিশ। কখন ইনেলের মাধ্যমে বিমানবন্দরে, আবার কখনও পিএমও দফতরে আবার ঊর্ধতন সরকারি কর্তাদের কাছে ফোন। প্রায় ১০০টির বেশি প্রতারণামূলক বোমা হামলার হুমকি পাঠানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন:যোগী আদিত্যনাথের নামে খুনের হুমকি!
এর আগে এই একই কারণে ২০২১ সালেও গ্রেফতার করা হয়েছিল তাকে। পুলিশ ইতিমধ্যেই জগদীশ উইকের মোবাইল ফোন ও ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করেছে। তার পিছনে আর কে কে আছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তাঁর আইপি অ্যাড্রেস ট্র্যাক করে তাঁকে ধরেছে নাগপুর পুলিশ। শুধুমাত্র ২৫ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবরের মধ্যে, তিনি ভারতের ৩০টি জায়গায় বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
তার হুমকি থেকে বাদ যায়নি কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব, মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীসের মতো বড় মাপের রাজনৈতিক নেতারা। আরও খবর এই জগদীশ উইকে স ন্ত্রাসবাদের উপর একটি বই লিখেছেন, যার নাম ‘আতঙ্কবাদ – এক তুফানি রাক্ষস’।
এই বইটি প্রকাশের অনুমোদন চেয়ে তিনি গত জানুয়ারি থেকে প্রায় ১০০বার প্রধামন্ত্রীর কার্যালয় এবং অন্যান্য আধিকারিকদের কাছে ইমেল পাঠিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। জবাব না পেয়ে হতাশা থেকেই তিনি হুমকি দিতে শুরু করেন বলে মনে করছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান এই সমস্ত কিছুর পিছনে রয়েছে জগদীশের প্রচার পাওয়ার লক্ষ্য।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সঞ্জয় পাটিলের মতে, সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে জগদীশ উইকের বইটিতে কোনও প্রকৃত তথ্য নেই। যা আছে তা হল সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে কিছু ষড়যন্ত্রের তত্ত্ব। যেগুলি ইন্টারনেটেই রয়েছে। ২০২১ সালে এই ধরনের কর্মকাণ্ডের জন্য গ্রেফতার হতে হয়েছিল। জগদীশকে এই মুহূর্তে নাগপুর পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে। নানাভাবে তদন্তকারি আধিকারিকদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উইকে।
অন্য খবর দেখুন: