নৈহাটি: ধর্ম হোক যার যার বড় মা সবার…
বড়মার (Naihati Boro Maa) কথা কম বেশি সবারই জানা রয়েছে। চলতি বছরে বড় মা-র পুজো ১০০ তম বছরে পদার্পণ করতে চলেছে। দূর-দূরান্ত থেকে বড় মার টানে ভক্তরা ছুটে আসেন নৈহাটিতে। সকাল থেকে ভক্তদের লম্বা লাইন পুজো দেওয়ার জন্য। পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। কালীপুজোর আগেই উদ্বোধন হয়ে গিয়েছে নৈহাটির বড় মা কালীর (Kali Puja 2023) স্থায়ী নতুন মন্দিরের, সকলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে কষ্টি পাথরের বড়মার মূর্তিও। মন্দিরের কাছেই বড়মার সুবিশাল মূর্তি তৈরি হচ্ছে, প্রতিবছরের এই মূর্তিতেই বড়মাকে পুজো করা হবে।
প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই বড় মা কালীপুজোর কাঠামো পুজো হয়ে থাকে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন। ইতিহাস বলছে, জুটমিল কর্মী বিশিষ্ট সমাজসেবী ভবেশ চক্রবর্তী নবদ্বীপে রাস উৎসবে গিয়েছিলেন। সেখানে বড় বড় প্রতিমা দেখেছিলেন। তারপর তিনি নৈহাটিতে ২১ ফুট উঁচু প্রতিমা বানিয়ে কালী পুজোর প্রচলন করেন। প্রথমে এই পুজো ভবেশ কালী হিসেবেই পরিচিত ছিল।পরবর্তীকালে বড় মা হিসেবেই জনমানসে পরিচিতি লাভ করে। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা বড়মা-র টানে পুজোর দিন নৈহাটিতে ছুটে আসেন। জনশ্রুতিতে আছে কোনও ভক্ত বড় মার কাছে মন থেকে কিছু চাইলে কাউকে খালি হাতে ফেরায় না মা। ১০০ কেজিরও বেশি সোনার গয়নায় বড়মা প্রতি বছর সেজে ওঠেন। নিরাপত্তার জন্য বাড়তি পুলিশ মোতায়েন থাকে মন্দির চত্বরে।
আরও পড়ুন: জুটমিলের ছাদ ভেঙে দুর্ঘটনা, মৃত ১
নৈহাটির বড়মা’র পুজো এবার ১০০ তম বর্ষে পদার্পণ করেছে। তাই এবার আরও বড় করে পুজোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সেই পরিস্থিতিতে পুজো দেওয়ার জন্য ভিড় না করে আগেভাগেই পুজো দিয়ে আসতে পারবেন। সেজন্য শনিবার থেকে পুজো নেওয়া শুরু হবে বলে বড়মা মন্দির ট্রাস্টের তরফে জানানো হয়েছে। সারা রাতই প্রায় চলে পুজো। পরের দিন সকালে সমস্ত প্রসাদ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। বড়মার পুজোর সমস্ত রান্না করা হয় গাওয়া ঘি দিয়ে, তাছাড়া ১১ টা অমাবশ্যার রাতে মাকে পুজো করা হয় যেখানে ৭০০ কেজির ভোগ রান্না করা হয়।
আরও অন্য খবর দেখুন