নদিয়া: মিথ্যে ডিভোর্সের আইনি কাগজ বানিয়ে স্ত্রীর নামে রেশন ডিলারের (Ration Dealer) নাম নথিভুক্ত করার অভিযোগ, তৃণমূলের ব্লক যুব সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সদস্যর বিরুদ্ধে। ঘটনা নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর পঞ্চায়েতের (Haripur Panchayat of Shantipur Block) মেথিরডাঙা এলাকার। প্রশাসনিক মহলে অভিযোগ দায়ের প্রাক্তন রেশন ডিলার ও এলাকাবাসী। গ্রামবাসীরা চাইছে পুরনো রেশন ডিলার থাকুক তাদের এলাকায়। ঘটনায় শুরু রাজনৈতিক তরজা।
এবার মিথ্যে ডিভোর্স ফাইল করে স্ত্রীর নামে রেশন ডিলারের নাম নথিভুক্ত করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য তথা ব্লকের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে। ওই এলাকারই পঞ্চায়েত সদস্য রূপম মান্নার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। জানা যায় বেশ কিছুদিন আগে এলাকারই প্রাক্তন রেশন ডিলার ধনঞ্জয় মনি মারা গেলে তার স্ত্রী নামে রেশন দোকানটি চলত। পরবর্তীতে তার ছেলে তরুন মনি রেশন দোকানের দায়িত্ব নেয়। কিন্তু পারিবারিক অশান্তির জেরে তার রেশন দোকানের লাইসেন্সটি বন্ধ হয়ে যায়। উক্ত রেশন দোকানটি এলাকারই অপর এক ব্যক্তির তত্ত্বাবধানে চলে আসে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী। এরপর ওই এলাকায় নতুন করে রেশন ডিলার এর নাম নথিভুক্তর খবর আসে। সেখানে একাধিক ব্যক্তি রেশনের ডিলারসিপ পাওয়ার জন্য নাম নথিভুক্ত করেন। সে মোতাবেক এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য তার স্ত্রীর নামে মিথ্যে ডিভোর্সের কাগজ বানিয়ে রেশন ডিলারের নাম নথিভুক্ত করেন। তার স্ত্রীর নামে এরপরই দেখা যায় ডিভোর্স তো দূরের কথা তার স্ত্রীর সঙ্গে বহাল তবিয়াতে সংসার করছেন একই বাড়িতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য তথা যুবর সভাপতি রুপম মান্না।
আরও পড়ুন: ভুয়ো রেশন কার্ড তৈরি করল খোদ ডিলার, তদন্তের নির্দেশ জেলাশাসকের
এলাকাবাসীর অভিযোগ বিগত দিনে যিনি রেশন দোকান চালাতেন তারা সাধারণ মানুষের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে রেশন বন্টন করতেন সরকার নির্ধারিত রেশন অনুযায়ী এবং তিনি যথেষ্ট পরিমাণে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে রেশন বন্টন করে আসছেন সব সময় করো না কালেও প্রাক্তন রেশন ডিলার সাধারণ মানুষের জন্য যথেষ্ট সাহায্য করেছেন। তবে বর্তমানে রূপম মান্না যদি রেশন ডিলার পায় তাহলে তারা তার কাছ থেকে মাল নেবেন না কারণ সাধারণ মানুষের দুঃখ দুর্দশা রূপম মান্না দেখে না। যদিও প্রাক্তন রেশন ডিলারের বিষয়ে এলাকাবাসীর কোন অভিযোগও নেই তাহলে একজন পঞ্চায়েত সদস্য কি ভাবে মিথ্যে ডিভোর্সের কাগজ দেখিয়ে রেশন ডিলার পাবে তা তাদের জানা নেই। ঘটনায় বড়সড় দুর্নীতির কথা অভিযোগ করেছে মেথিডাঙা এলাকার অধিবাসীদের।
অপরদিকে প্রাক্তন রেশন ডিলার ও নাম নথিভুক্ত করেছেন নতুন করে ডিলারশিপ পাওয়ার আশায় এবং প্রশাসনিক দফতরেও লিখিতভাবে ডিলেক্টিভ পাওয়ার জন্য আবেদনও করেছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যদিও ঘটনায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে খুব উপড়ে দিয়েছে হরিপুর পঞ্চায়েত এর বিরোধী দলনেতা সদানন্দ হালদার জানাচ্ছেন, শুধু রেশন নয় বিগত দিনে রাস্তার গাছ এবং শান্তিপুর কালনা ব্রিজের টাকাও আত্মসাৎ করেছে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য তবে যদি ওই পঞ্চায়েত সদস্য রেশন ডিলার পায় তাহলে পরবর্তীতে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটবে বিজেপি। যদিও তৃণমূলের তরফে বলা হয়েছে এ বিষয়ে তারা কিছু জানেন না। কে কিভাবে রেশন ডিলারশিপ পাচ্ছে সেটা তাদের জানা নেই যদি ঘটনা সত্য হয় তাহলে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে তাই হবে। অপরদিকে নিজের উপর ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় পঞ্চায়েত মেম্বার তথা তৃণমূলের যুব সভাপতি রুপম মান্না।
দেখুন ভিডিও