
বোলপুর: বিশ্বভারতীতে (Visva Bharati) বিশ্ব ঐতিহ্য ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore ) ব্রাত্য কেন ? বিষয়টির উপর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিশ্বভারতীর আচার্য তথা দেশের প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) চিঠি শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট, প্রাক্তনীদের। চলতি বছর ১৭ সেপ্টেম্বর শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসে বিশ্ব ঐতিহ্য স্বীকৃতি ইউনেস্কোর দ্বারা ফলক লাগানো হয়েছে। যে ফলক শ্বেত পাথরের। বসানো হয়েছে শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্রভবন, উপাসনা গৃহ এবং ছাতিমতলায়।
কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে বিশ্ব ঐতিহ্য শান্তিনিকেতন তকমা পাওয়ার ফলকে নাম নেই স্বয়ং শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। সেই ফলকে নাম রয়েছে বিশ্বভারতীর আচার্য নরেন্দ্র মোদি এবং উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এই খবর সামনে আসতেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বমহিমায় সরব হয়েছেন। তিনি কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনের।রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, শান্তিনিকেতন তথা বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। শান্তিনিকেতন বিশ্ব ঐতিহ্য তকমা পেয়েছে ইউনেস্কোর দ্বারা। এর কৃতিত্ব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। অথচ গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম নেই ফলকে। আগামীকাল সকালের মধ্যে সেই ফলক সরাতে হবে। নাম যুক্ত করাতে হবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। যদি না হয় শুক্রবার সকাল থেকেই রবি ঠাকুরের ছবি গলায় ঝুলিয়ে আন্দোলনের নামবে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব থেকে শুরু করে রবীন্দ্র প্রেমী মানুষজন।
আরও পড়ুন: দার্জিলিং থেকে সিটং যাওয়ার পথে খাদে পড়ল গাড়ি
খুব স্বাভাবিকভাবেই শান্তিনিকেতন ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ আদৌ এই ফলক বসানোর জন্য কোন অনুমতি নিয়েছে কিনা ? এবং এই সম্পূর্ণ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী যেন হস্তক্ষেপ করেন।
আরও অন্য খবর দেখুন