কলকাতা: এনডিএ সরকার বেশিদিন থাকবে না। কালীঘাটের বৈঠক থেকে ভবিষ্যদ্বাণী করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রে সরকার গঠনের আগে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান নিয়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। রবিবার সন্ধ্যা নরেন্দ্র মোদি শপথ নিতে চলেছেন। তার আগে শনিবার কালীঘাটে তৃণমূলের জয়ী এবং পরাজিত প্রার্থী, জেলা সভাপতি, জেলা চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন বিশিষ্ট নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন তৃণমূল নেত্রী। সেই বৈঠকে মমতা বলেন, এই নড়বড়ে সরকার বেশিদিন টিকবে না ইন্ডিয়া জোট অপেক্ষা করছি এবং নজর রাখছি। পরে সাংবাদিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ইন্ডিয়া জোট শুধু বসে থাকবে না। আজকে সরকার গড়ার উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে কাল নেবে না, এমন কোনও কোনও কথা নেই। আমরা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছি। মমংতা জানিয়ে দেন, আমন্ত্রণ পেলেও রবিবার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে তণমূল যাচ্ছে না। ওইদিন দেশের মানুষকে শুভ কামনা জানানো হবে।
এদিন বৈঠকে সাংসদদের কী কাজ হবে তা বুঝিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেন, সাংসদরা লোকসভায় বসে থাকার জন্য নির্বাচিত হননি, এটা যেন তারা মনে রাখেন। সংসদে সব সদস্যকে নিয়োমিত উপস্থিত থাকতে হবে। আলোচনায় অংশ নিতে হবে।
আরও পড়ুন: দিলীপ, সৌমিত্র, লকেট কি তৃণমূলের দিকে পা বাড়িয়ে, জল্পনা তুঙ্গে
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই সরকারেবিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। নরেন্দ্র মোদির উচিত ছিল এটা অন্য কাউকে ছেড়ে দেওয়া। আমি যদি ওই জায়গায় থাকতাম তা হলে সরকার গড়তে যেতাম না। নতুন সরকার এবার গায়ের জোড়ে সংসদে কোনও কাজ করতে পারবেনা। কোনও বিল গায়ের জোড়ে পাশ করাতে পারবে না। আমরা বিরোধীরা সিএএ বাতিলের দাবি জানব। অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করতে দেব না। কৃষিপণ্যের ন্যূনতম সহায়ক মূল্য কেন্দ্রীয় সরকারকে চালু করতে হবে। কৃষক আন্দোলনে পাশে থাকবে তৃণমূল। মমতা জানান, খুব শীঘ্র তৃণণূলের রাজ্যসভা সদস্যদের এক প্রতিনিধি দল হরিয়ানায় যাবে। প্রতিনিধিরা আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে থাকার বার্তা দেবেন।
মমতা আরও বলেন, দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। দেশের মানুষ মোদির বিদায় চায়। এই স্বৈরতন্ত্রী সরকার যত তাড়াতাড়ি ঘরে ফিরে যায়, ততই মঙ্গল। তিনি জানিয়েদেন, একশো দিনের কাজের টাকা সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তৃণমূলের আন্দোলন আরও জোরগার হবে। ভোটের ফল প্রকাশের মুখে যে শেয়ার কেলেঙ্কারি হয়েছে, তার বিরুদ্ধে তৃণমূল আইনি পদক্ষেপ করবেন।
দেখুন ভিডিও