ওয়েবডেস্ক- স্ট্যান স্বামীর (Stan Swamy) মৃত্যুদিন স্মরণ করে সংসদে সরব হলেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়েন (Trinamool MP Derek O’Brien) । ডেরেক বলেন, এনআইএ (NIA) ৮৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধকে অভিযুক্ত করেছিল। তথ্যপ্রমাণ মিথ্যে ছিল, প্রমাণ মেলে ফরেনসিক তদন্তে। পুরোহিত হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলিম বা শিখ ছিলেন কিনা তা বিবেচ্য নয়। যে সম্প্রদায়ই হোক, অত্যাচার থেকে রেহাই নেই, কটাক্ষ ডেরেকের। ডেরেক লেখেন, ৫ জুলাই তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে ফাদার স্ট্যান স্বামীকে স্মরণ করছি।
উল্লেখ্য, করোনাকাল চলার সময় স্ট্যানিস্লাস লার্ডুস্বামী (Stanislaus Lourduswamy) ওরফে ফাদার স্ট্যান স্বামীকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তখন তিনি তাঁর বয়স ছিল ৮৪। এনআইএ তাঁকে ইউএপিএ আইনে (UAPA Act) গ্রেফতার করলেও তাঁকে একদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করেনি। অসুস্থতার কারণে স্ট্যান স্বামী জামিন চাইলে এনআইএ আইনজীবীরা তাঁর বিরোধিতা করেন। তাঁদের যুক্তি ছিল স্ট্যান স্বামী জেসুইট পাদ্রি মাওবাদীদের সঙ্গে মিলে সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষছেন।
বিশেষ এনআইএ আদালত তাঁর জামিনের আর্জি খারিজ করে জানিয়ে দেয়, অসুস্থ হলেও জামিন দেওয়া যাবে না। মহারাষ্ট্রের তালোজা জেলে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পরে ক্রমেই অসুস্থ হয়ে পড়েন স্ট্যান স্বামী। বম্বে হাই কোর্টের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু জামিনের শুনানির মৃত্যু হয় এই অশীতিপর বৃদ্ধের।
আরও পড়ুন- তফসিলিদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতদুষ্ট রায়! সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ কংগ্রেস
স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু ‘রাষ্ট্রের হাতে হত্যা’ বলেই অভিযোগ ওঠে। স্ট্যান স্বামীর মৃত্যু নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাষ্ট্রপুঞ্জের মানবাধিকার সংক্রান্ত বিশেষ প্রতিনিধি মেরি লেলর এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের মানবাধিকার প্রতিনিধি ইমন গিলমোর।
উল্লেখ্য, তামিলনাড়ুতে জন্ম স্ট্যানিসলাস লর্ডুস্বামী, একজন পুরোহিত ছিলেন। তিনি নরেন্দ্র মোদির একজন কট্টর সমালোচক। স্ট্যান স্বামীর বিরুদ্ধে নিষিদ্ধ ঘোষিত ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি ‘মাওবাদী’ সদস্যপদ থাকার অভিযোগ আনা হয়েছিল।
দেখুন আরও খবর-