নয়াদিল্লি: সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে নিন্দিত বাংলাদেশে (Bangladesh) এবার দেশছাড়া প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) কণ্ঠরোধের উদ্যোগ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শেখ হাসিনার বক্তব্য সরাতে নির্দেশ সেখানকার আদালতের। গত ৫ অগাস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে আসতে বাধ্য হওয়ার পর থেকে তাঁর নামে বাংলাদেশে একের পর এক মামলা হয়েছে। হাসিনার দল আওয়ামি লিগকে কোনও কর্মসূচি করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। দলীয় নেতাদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। সম্প্রতি সেখানকার সংখ্যালঘু নির্য়াতন ও অন্তর্বর্তী মুহাম্মদ ইউনুসের ভূমিকা নিয়ে একের পর এক অভিযোগ তুলছিলেন হাসিনা। সেই সময় হাসিনার বক্তব্য প্রকাশ আটকাতে খাঁড়া নামানো হল। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত নির্দেশ হয়েছে। বলা হয়েছে, হাসিনার ‘বিদ্বেষমূলক’ বক্তব্য সম্প্রচার করা যাবে না। সরিয়ে ফেলতে হবে।
এই বিষয়ে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজি মোনাওয়ার হুসেইন বলেছেন, আমাদের আবেদন ট্রাইব্যুনাল শুনেছেন এবং মঞ্জুর করেছেন। বাংলাদেশ সরকার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে যেসব বিদ্বেষমূলক বক্তব্য এখনও আছে সেগুলো যেন অতি দ্রুত সরানো হয়। ভবিষ্যেত শেখ হাসিনার কোনও ধরনের ‘হেটস্পিচ’ যাতে সম্প্রচার না হয় সেজন্য ট্রাইব্যুনাল আদেশ দিয়েছে। ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিতভাবে ট্রাইব্যুনালের আদেশ পৌঁছবে। প্রশ্ন উঠেছে, কোনটি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য তার বিচার করবে কে? তার মানে ঘুরিয়ে হাসিনার বক্তব্য যাতে বাংলাদেশের মানুষের কাছে না পৌঁছয় সেজন্য কি এই উদ্যোগ? বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি নির্যাতন বন্ধের দাবি তোলায় ইসকনের প্রাক্তন সদস্য চিন্ময়কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করা হয় বলে অভিযোগ। তাঁর জামিন মামলার শুনানিতে কোনও আইনজীবীকে পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, কোনও আইনজীবীকে সওয়াল করতে দেওয়া হয়নি। এবার ফের আরও একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার কণ্ঠরোধের উদ্যোগ।
আরও পড়ুন: মহাকাশ আবিষ্কারের ভার স্কুল-ছুটের হাতে, নাসার প্রধান মাস্ক ঘনিষ্ঠ আইজ্যাকম্যান
দেখুন অন্য খবর: