নয়াদিল্লি: সারা বিশ্বই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। সেখানে ওপেন এআই (OpenAI) ও ওই সংস্থার জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) মতো কৃত্রিম বু্দ্ধিমত্তার কাজ নিয়ে ২৬ বছর বয়সী তরুণের অভিযোগ আন্তর্জাতিক খবরের শিরোনাম হয়েছিল। যিনি একসময় ওপেন এআই কোম্পানিতেই কাজ করতেন। তারপর অনেক সাংবাদিক, লেখক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত ওপেন এআই গবেষক হুইশল ব্লোয়ার সুচির বালাজির (Suchir Balaji) মৃতদেহ উদ্ধার হল আমেরিকার সানফ্রান্সিকোতে। মৃত্যুর ১৭ দিন পর শনিবার তিনি খবরে এলেন। তাঁর মৃত্যুর পিছনে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন অনেকে। যা নিয়ে তীব্র আলোড়ন তৈরি হয়েছে। যে ঘটনায় ইন্টারনেট দুনিয়ায় নানা প্রশ্ন ঘুরছে। এমনকী এক্স হ্যান্ডলের সিইও ইলন মাস্কও ইঙ্গিতপূর্ণ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। গত ২৬ নভেম্বর সানফ্রান্সিসকোতে ফ্ল্যাটে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল সুচিরকে। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিক তদন্তের কোনও ‘ফা্উল প্লে’ পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর ধরনটি আত্মহত্যা বলে মনে করা হচ্ছে। গত অগস্টে ওই কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করার পরপরই ওপেন এআইকে কপিরাইট লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছিলেন সুচির। যা ইন্টারনেট ব্যবস্থার ক্ষতি করছে বলেও অভিযোগ তুলেছিলেন।
টেসলার সিইও ইলন মাস্ক একটি ‘হুম’ লিখে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। নিউইয়র্ক টাইমসকে একটি সাক্ষাত্কারে বালাজি বলেছিলেন, ওপেনএআইয়ের অনুশীলন ইন্টারনেট ব্যবস্থার বাস্তুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর। কারও সম্মতি ছাড়াই ডেটা ব্যবহার করা হয়। গত ২৪ অক্টোবরও শেষ পোস্ট করেছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন, প্রথম দিকে আমি কপিরাইট, ন্যায্য ব্যবহার ইত্যাদি সম্পর্কে তেমন কিছু জানতাম না। কিন্তু এআই কোম্পানির বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা দেখার পর কৌতূহলী হয়ে উঠেছিলাম৷ যখন আমি বিষয়টিকে আরও ভালোভাবে বোঝার চেষ্টা করেছি। তাঁর অভিযোগগুলির পর অনেক লেখক, প্রোগ্রামার এবং সাংবাদিক কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। যাঁরা দাবি করেন, যে তাদের কপিরাইটযুক্ত কাজগুলি অবৈধভাবে ব্যবহার করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি লালকৃষ্ণ আদবানি, এখন কেমন আছেন?
দেখুন অন্য খবর: