কলকাতা: সেমিফাইনালে হেরেছেন ঠিকই। কিন্তু হেরেও দমে যাননি। ফিনিক্সের মতো পরের লক্ষ্যে স্থির লক্ষ্য সেন (Lakshya Sen)। আর লক্ষ্য হচ্ছে, অলিম্পিক্সে প্রথম ভারতীয় পুরুষ শাটলার হিসেবে ব্রোঞ্জ জেতা। অন্যদিকে, লক্ষ্য সেনকে হারিয়ে নিজের নামের সুনাম রাখলেন ডেনমার্কের ভিক্টর অ্যাক্সেলসেন।
লক্ষ্য সেন হতাশ হলেও আত্মবিশ্বাস হারাচ্ছেন না। ব্রোঞ্জ পদক ম্যাচের দিকে তাকিয়ে তিনি। রবিবার ম্যাচের পর তিনি বলেছেন, ‘এই সেমিফাইনাল ম্যাচ মনে রাখতে চাই না। প্রতিযোগিতায় আগের ম্যাচগুলিও মনে রাখতে চাই না। আমার সামনে এখন একটাই ম্যাচ। সোমবারের ম্যাচটা জিততে চাই। এখন এটাই আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘সোমবারের ম্যাচের জন্য আমি প্রস্তুত। কালকের ম্যাচেও নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করব। সেমিফাইনাল থেকে অনেক কিছু শিখেছি। পরের ম্যাচে সেগুলো কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’
আরও পড়ুন: প্যারিসে চক দে ইন্ডিয়া! হকির সেমিফাইনালে ভারত
লক্ষ্য মেনে নিয়েছেন অ্যাক্সেলসেনের মতো খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে তাঁর আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল। তিনি বলেছেন, ‘সেমিফাইনালটা খুব কঠিন ছিল। আরও সতর্ক থাকা উচিত ছিল আমার। প্রথম গেম হেরে যাওয়া ঠিক হয়নি। তা হলে ম্যাচটা তৃতীয় গেমে নিয়ে যাওয়া যেত। হয়তো জেতার সুযোগ পেতে পারতাম। দ্বিতীয় গেমটাও ভাল শুরু করেছিলাম। কিন্তু এগিয়ে থাকার সুবিধা ধরে রাখতে পারিনি। অ্যাক্সেলসেন সত্যিই খুব ভাল খেলেছে। পয়েন্ট পাওয়া খুব কঠিন হচ্ছিল।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘খেলা যত এগিয়েছে, অ্যাক্সেলসেন আক্রমণের ঝাঁঝ তত বৃদ্ধি করেছে। আমি রক্ষণাত্মক হলেও আক্রমণাত্মক খেলা চালিয়ে গিয়েছে। মনে হয়, সেই সময় আমারও পাল্টা আগ্রাসী হওয়া উচিত ছিল। তা হলে হয়তো অন্য রকম হতে পারত।’
প্যারিসে রয়েছেন লক্ষ্যর বাবা-মাও। খেলা এবং অনুশীলনের ফাঁকে সময়, সুযোগ পেলে বাবা-মার সঙ্গে দেখা করছেন। মায়ের রান্না করা খাবারও খাচ্ছেন দুপুরে এবং রাতে। শনিবার তাঁর বাবা-মা এসেছিলেন সেমিফাইনালের লড়াই দেখতে। তা নিয়ে লক্ষ্য বলেছেন, ‘বাবা-মা দর্শকাসনে ছিলেন। প্রায় প্রতি দিন আমাকে দুপুর এবং রাতের খাবার পাঠাচ্ছেন বাবা-মা। যে দিন যেমন পারছেন, তেমন করে দিচ্ছেন। সব সময় ওদের পাশে পাই। বাবা, মায়ের সঙ্গে আমার ভাইও এখানে এসেছে। সবাই পাশে থাকলে সাহস পাওয়া যায়। দর্শকেরাও আমাকে সমর্থন করেছেন। আশা করব সোমবারও এমন সমর্থন পাব।’
অন্য খবর দেখুন