নয়াদিল্লি: গণতন্ত্রে আজকের দিনটি গৌরবের, বৈভবের। সোমবার সংসদে শপথ গ্রহণ করার আগে বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Prime Minister Narendra Modi)। এদিন প্রধানমন্ত্রী সহ অন্যান্য সাংসদরা শপথ নেবেন। বিতর্কের মধ্যেই প্রোটেম স্পিকার হিসাবে শপথ নিলেন ভর্তৃহরি মহতাব। তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে একার শক্তিতে ম্যাজিক ফিগার ছুঁতে পারেনি বিজেপি। এবারে শরিকের উপর নির্ভর সরকার গড়েছে বিজেপি। এদিন অধিবেশনে (Parliament Session of 18th Lok Sabha) অংশ নেওয়ার আগে জোট সরকারের নিয়ে বিরোধীদের বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী। মোদি বলেন, সরকার চালাতে বহুমতের প্রয়োজন। আর দেশ চালাতে সহমতের প্রয়োজন।
মোদি বলেন, তৃতীয় কার্যকালে আরও বেশি পরিশ্রম করব। শ্রেষ্ঠ ভারত নির্মাণ, বিকশিত ভারত তৈরির স্বপ্ন নিয়ে আজ ১৮ তম লোকসভার সূচনা হচ্ছে। দেশে তরুণ সাংসদদের সংখ্যাও বেড়েছ। এদিন অধিবেশনব শুরু আগেই জরুরী অবস্থা নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন মোদি। তিনি বলেন, ২৫ জুন জরুরী অবস্থার ৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। জরুরী অবস্থা ভারতীয় গণতন্ত্রে কালোদাগ। মার্জেন্সির এই ৫০ বছরে আমরা এই সংকল্প নেব যে, আমরা সংবিধানের রক্ষা করে ভারতের গণতন্ত্র, গণতান্ত্রিক ঐতিহ্যকে রক্ষা করব। তিনি আরও বলেন, স্বাধীনতা পর প্রথমবার নতুন সংসদে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান হচ্ছে। এত বড় ভোট পর্ব সুষ্ঠ ভাবে সম্পন্ন হয়েছে। আমি সকল নবনির্বাচিত সাংসদদের স্বাগত জানাই, অভিনন্দন জানাই, শুভকামনা জানাই। সংসদে নতুন উদ্যোগ নতুন গতি অর্জন করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত এটা।
আরও পড়ুন: হাইকোর্টকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে কেজরিওয়াল
সোমবার সংসদে শপথ গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সহ অন্যান্য সাংসদরা। এনডিএ জোটের ২৯২ জন, ইন্ডিয়া জোটের ২৩৩ জন এবং অন্যান্যদের ১৮ জন সাংসদ শপথ নেবেন। সকাল ১১ টা থেকে শুরু হবে শপথগ্রহণ। অধিবেশনের প্রথমদিনই ঝড় তুলতে প্রত্তুত বিরোধীরা। বিরোধীদের আপত্তি থাকার সত্ত্বেও প্রোটেম স্পিকার হিসাবে শপথ নিলেন ভর্তৃহরি মহতাব। অধিবেশনের প্রথম দিনই প্রোটেম স্পিকারের নির্বাচন নিয়ে এনডিএ ও ইন্ডিয়া দ্বন্দ্ব তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেন সবচেয়ে বেশি বার জিতে আসা সাংসদ কংগ্রেসের কে সুরেশকে ওই দায়িত্ব দেওয়া হল না, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হতে পারেন বিরোধীরা। এছাড়াও একাধিক সর্বভারতীয় এন্ট্রাস পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, রেলদুর্ঘটনা, শেয়ার মার্কেট দুর্নীতি নিয়ে সরকারকে চাপে ফেলতে পারে বিরোধী শিবির। তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে প্রথম অধিবেশনে রীতিমতো ব্যাকফুটে বিজেপি নেতৃত্ব।
অন্য খবর দেখুন