কলকাতা: কসবা ল কলেজের (Kasba Law College Incident ) গভার্নিং বডির রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত (Police Seize Governing Body Register)করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। সূত্রের খবর, বুধবার বিকেলে রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার আগে শেষ কবে গভর্নিং বডির বৈঠক হয়েছিল, সেই মিটিং এ মনোজিতের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেছিল কিনা,সেগুলো খতিয়ে দেখছে তদন্তকারীরা। ওই মিটিংয়ে কারা কারা ছিল তাও খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী আধিকারিকরা। একইসঙ্গে তদন্তকারীদের নজর মনোজিত এর নিয়োগ সংক্রান্ত নথিতেও। সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে কলেজের অ্যাটেনডেন্স রেজিস্ট্রারও।
কসবা কাণ্ডে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্র ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলেই দাবি কলকাতা পুলিশের তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, আলিপুর আদালতে তারা যে নথি জমা দিয়েছে, তাতে ‘প্রভাবশালী-র উল্লেখ রয়েছে। তদন্তে নেমে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মনোজিতের বিরুদ্ধে পুলিশ যাতে কোনও ভাবে পদক্ষেপ করতে না পারে শেষ পর্যন্ত সেই চেষ্টা করেছিল মনোজিৎ। পুলিশ সূত্রে খবর, জেরায় যথাযথ তথ্য দিচ্ছে না মনোজিৎ। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টাও কি চলছে?
কলেজের পরিচালন সমিতির রেজিস্টার বুক বাজেয়াপ্ত করলেন তদন্তকারীরা। ঘটনার আগে শেষ কবে পরিচালন সমিতি বৈঠকে বসেছিল, জানতে চান তাঁরা। রেজিস্টার থেকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেও মনে করছেন লালবাজারের গোয়েন্দা কর্তারা। গণধর্ষণে মূল অভিযুক্ত মনোজিৎ মিশ্রের চাকরি পরিচালন সমিতির সুপারিশেই হয়েছিল কি না, তা দেখার বিষয়। যদি হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি কি উঠেছিল? যদি কেউ আপত্তি জানান, তা কার্যবিবরণী বা মিনিটস-এ কি নথিবদ্ধ হয়েছিল? এই প্রশ্নগুলির উত্তরের ক্ষেত্রে রেজিস্টার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আরও পড়ুন:মনোজিতদের নিয়ে কসবার ল’ কলেজে পুলিশ, কী কী তথ্য মিলল?
গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে ২৫ জুন। ২৬ জুন রাতে গ্রেফতার হয় মনোজিৎ মিশ্র, প্রমিত মুখোপাধ্যায় ও জইব আহমেদ। এই ২৪ ঘণ্টায় তারা কী করেছিল, সে দিকেই নজর তদন্তকারীদের। শুক্রবার ভোররাতে ৪ অভিযুক্তদের নিয়ে কসবা ল কলেজে (Kasba Law College Incident ) হাজির হয়েছিলেন তদন্তকারীরা। এদিন ৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে বলে খবর। মনোজিৎদের নিয়ে যাওয়া হয় ইউনিয়ন রুম ও গার্ডরুমে। ইউনিয়ন রুম থেকে গার্ড রুম, প্রতিটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। ঘটনার পুনর্নির্মাণের ভিডিয়োগ্রাফি করছে পুলিশ। ২৫ জুন ঘটনার দিন রাতে কলেজ কী ঘটেছিল, তা-ই প্রতিটি বিষয় খুঁটিনাটি জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনাস্থলের থ্রি ডি ম্যাপিং করছেন তদন্তকারীরা।
অন্য খবর দেখুন