কলকাতা: পৃথিবীর সমস্ত শক্তির উৎস হল সূর্য। সূর্য না থাকলে আমাদের এই ধরাধাম অন্ধকারে ডুবে যাবে, হারিয়ে যাবে সব প্রাণের অস্তিত্ব। আবার সূর্য অস্থির হলেও সূর্যের নিকটবর্তী গ্রহ এবং তাদের উপগ্রহগুলির জন্য তা বিপদের সংকেত হতে পারে। সেই কারণে, সৌরঝড় বা সূর্যের থেকে রশ্মি নির্গমনের ঘটনা ঘটলে, এর প্রভাবে পৃথিবীর অনেক পরিষেবা ব্যহত হয়। ৬ নভেম্বর এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে। ওইদিন আটলান্টিক মহাসাগর, দক্ষিণ আমেরিকা ও আফ্রিকার কিছু অংশে একটি শক্তিশালী সৌর বিস্ফোরণ এবং তার প্রভাবে সৌরঝড়ের ঘটনা ঘটেছে। নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি এই ঘটনার একটি ছবি তুলেছে। এই ধরনের সৌর ঘটনা আন্তর্জাতিক যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটানোর পাশাপাশি নেভিগেশন সিস্টেম, বৈদ্যুতিক পাওয়ার গ্রিড এবং রেডিও ট্রান্সমিশনে প্রভাব ফেলেছে বলে মত বিজ্ঞানীদের।
আরও পড়ুন: সমুদ্রের নীচে রহস্যময় পিরামিড! মানুষের তৈরি না’ও হতে পারে, মত বিজ্ঞানীদের
মার্কিন গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, সৌর বিস্ফোরণ বা সৌরঝড় শক্তিশালী একটি শক্তি নির্গমন। এই এই ধরণের প্রাকৃতিক ঘটনা রেডিও যোগাযোগ, বৈদ্যুতিক শক্তি সরবরাহ ব্যবস্থা, নেভিগেশন সংকেত, এবং মহাকাশযান ও মহাকাশচারীদের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। Space.com এর তথ্য অনুযায়ী, সৌররশ্মিগুলিকে চার স্তরের একটি শ্রেণীবিন্যাসে সাজানো হয়েছে, যেখানে প্রতিটি স্তর আগের স্তরের চেয়ে দশগুণ বেশি শক্তিশালী। X-ক্লাসের সৌররশ্মি হল সবচেয়ে শক্তিশালী এবং M-ক্লাস এক ধাপ কম শক্তিশালী। Spaceweather.com অনুযায়ী, নাসা এবং ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার যৌথ পর্যবেক্ষণযান করোনাল মাস ইজেকশন-এর তথ্য সংগ্রহের জন্য বিজ্ঞানীরা অপেক্ষা করছেন। করোনাল মাস ইজেকশন হল একটি তীব্র চুম্বকীয় ক্ষেত্র এবং প্লাজমার সমাহার, যা পৃথিবীতে পৌঁছালে এক ধরনের ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি করতে পারে। এই ঝড়ের প্রভাবে সৌর মেরু আলো, বা অরোরা বোরিয়ালিস দেখা যেতে পারে।
দেখুন আরও খবর: