কলকাতা: মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যু। মেদিনীপুরে প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা কার্যত শোরগোল ফেলে দিয়েছে রাজ্য জুড়ে। তদন্ত শুরু করেছে প্রশাসন। সিআইডি তদন্তেরও নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরেও স্যালাইনে নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাকে ঘিরে এক বড় পোস্ট করেন কুনাল ঘোষ। তিনি লিখছেন, ‘বিভ্রান্তি আর নজর ঘোরানোর খেলা বরদাস্ত করবেন না। বাস্তবটা জানুন। সূত্রের খবর, ১) যে তিনজন সিনিয়র ডাক্তারের ওটি করার কথা ছিল, তাঁরা ছিলেন না। এঁদের মধ্যে একজন বিভিন্ন প্রাইভেট নার্সিংহোমে ওটি করে বেড়ান। ২) অ্যানাসথেসিয়া বিশেষজ্ঞও ছিলেন না। একজন ফার্স্ট ইয়ার পিজিটি কাজটা করে। ৩) দুজন থার্ড ইয়ার পিজিটি ওটি করে। সাহায্য করে ইন্টার্ন।’
আরও পড়ুন: ভেন্টিলেশন সাপোর্টে ২ প্রসূতি, আশঙ্কাজনক ১! কেমন আছেন তাঁরা?
তিনি আরও লিখছেন, ‘ধামাচাপা দেওয়ার তাড়াহুড়োয় একই সময়ে একই ডাক্তার পাশাপাশি দুই টেবিলে দুটো ওটি দেখিয়ে ফেলেছেন রেকর্ডে।প্রসূতি এরপর যখন অসুস্থ হন, এঁরা তাঁর টিকিটে বিস্তারিত রেকর্ড করেনি। এরপর গোটা কেলেঙ্কারি চাপতে স্যালাইন ও অন্যান্য দিকে নজর ঘুরিয়ে সরকারবিরোধী প্রচার করানো হচ্ছে। স্যালাইনে কোনো ত্রুটি থাকলে প্রমাণিত হোক সেটাও। কিন্তু তা দিয়ে যেন আসল কান্ড আড়াল না করা হয়। আশা করি, তদন্ত রিপোর্টে ডাক্তারদের কয়েকজনের এই ভয়ানক কীর্তি উঠে আসবে এবং সংশ্লিষ্ট সকলের যথাযথ শাস্তি হবে।’
যদিও কুণালের প্রতিক্রিয়ায় সরব জুনিয়র ডক্টর ফ্রন্টস। সাম্প্রতিক সাংবাদিক বৈঠকে ডক্টর দেবাশিস হালদার প্রশ্ন করেন, মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেফ্রোলজি, ২৪ ঘণ্টা রক্ত পরীক্ষার ব্যবস্থা কেন থাকবে না?’
ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই এক নেটিজেন লিখছেন, ‘সরকারি হাসপাতালে জাল ওষুধের কালো কারবার। হাসপাতালের সামগ্রী কেনায় অর্থনৈতিক গরমিল, মানুষকে নিম্নমানের ওষুধ দেওয়া, হাসপাতালে দালালচক্র, অপর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রী, যথেষ্ট ডাক্তার বা নার্স না থাকা ইত্যাদি থেকে নজর ঘোরানোর খেলা? লজ্জা করছে না?’
দেখুন আরও খবর: