কলকাতা: রাহুলকে ছাপিয়ে গিয়ে ওয়েনাডে জয়ী প্রিয়ঙ্কা (Wayanad Priyanka Gandhi Wins)। ২০২৪ এর লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi) ৬ লক্ষ ৪৭ হাজার ৪৪৫ ভোটে জয়ী হয়ে ছিলেন। এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনে প্রিয়ঙ্কার জয়ের মার্জিন বেশি রাহুলের থেকে। রাহুল যেখানে ৩ লক্ষ ৬৪ হাজার ৪২২টি ভোটে জয়ী হয়েছিলেন , সেখানে এবার প্রিয়ঙ্কা জয়ী হলেন ৪ লক্ষ ১০ হাজার ৯৩১টি ভোটে। জীবনে প্রথম নির্বাচনী পরীক্ষায় নেমে সফল প্রিয়াঙ্কা। নির্বাচনে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বীতা করলেও। রাজনৈতিক ময়দানে মোটেও নবাগতা নন রাজীব তনয়া। মাত্র ১৭ বছর বয়সে বাবা রাজীবের ছায়া শুরু রাজনৈতিক জীবন। ফিরে যেতে হবে ১৯৯৮ সালের দিকে, সেই বছর নির্বাচনী ময়দানে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন সনিয়া গান্ধীও। কিন্তু সেই সময় নির্বাচনী প্রচারে মা সনিয়া গান্ধীর পাশে দাঁড়িয়ে ছিল ২৬ বছরের প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কংগ্রেস সমর্থকরা সেদিন স্লোগান দিয়েছিলেন, “আমাদের ভবিষ্যত নেত্রী”। ব্যাস সেই থেকে রাজনীতির ময়দানে সঙ্গে তাঁর পরিচয়।
প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা, গান্ধী পরিবারের সন্তান। তাঁর রক্তের শিরায় শিরায় রাজনীতি। তাঁর মধ্যে অনেকে ইন্দিরার ছায়াও দেখেন। চেহারায় যেমন মিল, তেমনি ইন্দিরা গান্ধীর স্বভাব-চরিত্রেও মিল রয়েছে প্রিয়াঙ্কার মধ্যে। অনেকেই মনে করেন ভবিষ্যতের দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা তাঁর মধ্যে রয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে রাহুল-সনিয়ার রাজনৈতিক কাজকর্ম সামলেছেন প্রিয়াঙ্কা। সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত থাকলেও, ভোটের লড়াইয়ে নামেননি প্রিয়ঙ্কার। নির্বাচনী লড়াইয়ের ময়দানে নামতে সময় লেগে গেল ৩৫ বছর। প্রথম লড়াইয়েই চূড়ান্ত সাফল্য পেলেন প্রিয়াঙ্কা। লোকসভা উপনির্বাচনে ৪ লক্ষেরও বেশি ভোটে ওয়েনাড কেন্দ্র থেকে জয়ী প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। দাদা রাহুল গান্ধীর রেকর্ডকেও ছাপিয়ে গিয়েছেন বোন প্রিয়ঙ্কা।
আরও পড়ুন:বাংলায় ৬ এ ৬ তৃণমূলের, মা-মাটি-মানুষকে ধন্যবাদ মমতার
বর্ণময় প্রিয়াঙ্কার রাজনৈতিক জীবন। ১৯৮৯ সালে মায়ের হয়ে প্রথম প্রচার। ২০০৪ সালে রাহুল গান্ধী রাজনীতির ময়দানে পা রাখলেন। তখনও পাশে দাঁড়িয়ে প্রচার করেছিলেন বোন প্রিয়ঙ্কাই। কংগ্রেসের ভাঙন কাটকানো থেকে দলের বিপদে ত্রাতা প্রিয়াঙ্কা। যখনই সনিয়া-রাহুল ব্যর্থ হয়েছেন হাল ধরেছেন সেই প্রিয়াঙ্কা। সাড়ে তিন দশক ধরে রাজনীতির অলিন্দে যাতাযাত, কিন্তু সামনে আসেননি। দলের ব্যকবোন হয়ে ছিলেন। রাহুলের হয়ে প্রচার করেছেন, কখনও মা সনিয়া গান্ধীর হয়ে প্রচার করেছেন, দলের শীর্ষ নেতা থেকে কর্মীদের হয়ে প্রচার করেছেন। প্রিয়ঙ্কাও দীর্ঘ কেরিয়ারে বারেবারে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। দলের বিপদে নিজের বুদ্ধিমত্তা ও বাগ্মিতার পরিচয়া দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। দলের জয়ের নেপথ্যের ‘নায়ক প্রিয়াঙ্কা’। বোনের জয়া উচ্ছ্বসিত দাদা রাহুলও। এবার সংসদে মোদির বিরুদ্ধে ঝড় তুলবেন দাদা-বোন। প্রিয়াঙ্কার জয়ে সংসদে বিজেপি কিছুটা হলে চাপে পড়বে।
দেখুন ভিডিও