নয়াদিল্লি: স্কুলস্তরে আগে রচনা লিখতে দেওয়া হতো বিজ্ঞান আশীর্বাদ না অভিশাপ। এখন সোশ্যাল মিডিয়ার (Social Media) যুগে ঘরে ঘরে একটাই প্রশ্নে মা-বাবারা উদ্বিগ্ন, শিশুদের কি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত? ফোন না দেখলে সদ্য জন্মানো শিশুর কান্না থামে না। মোবাইল আসক্তিতে শিশুরা নাওয়া খাওয়া ভুলে গিয়েছে। দিন রাত মোবাইলে মুখ গুঁজে রয়েছে কিশোর কিশোরীরা। এই অভিযোগ আকছার এখন অনেকের। এমনকী মোবাইল কিনে না দেওয়ায় খারাপ ঘটনারও খবর শিরোনামে এসেছে। অনেকে আপত্তিজনক, ছবি, ভিডিয়ো দেখে ভুল মানসিকতার শিকার হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। ঠিক এই প্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে অস্ট্রেলিয়া (Australia)। সেখানে এরপর ১৬ বছরের নীচে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহার করতে পারবে (Ban) না। একাধিক দেশ বাবা-মায়ের অনুমতি ছাড়া টিনএজার বা শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে আগে। এবার আরও একধাপ এগিয়ে কড়া পরিকল্পনা অস্ট্রলিয়ার। যা নিয়ে শোরগোল পড়েছে দুনিয়ায়। তবে এখন পড়াশোনা, বিভিন্ন ‘এক্স্ট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজে’ সোশ্যাল মিডিয়া বা ইন্টারনেট ব্যবহারের গুরুত্বও অস্বীকার করা যায় না। ফলে এই পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি অ্যালবানিজ বৃহস্পতিবার বলেন, সরকার ১৬ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার জন্য আইন প্রণয়ন করবে। সোশ্যাল মিডিয়া আমাদের বাচ্চাদের ক্ষতি করছে। এই বছর সংসদে আইন প্রবর্তন করা হবে। আইন প্রণেতাদের দ্বারা অনুমোদিত হওয়ার ১২ মাস পরে আইন কার্যকর হবে। অভিভাবকদের সম্মতি আছে এমন ব্যবহারকারীদের জন্যও কোনও ছাড় থাকবে না। এটা বিশ্বের কাছে পথ প্রদর্শক হবে। আলবানিজ বলেন, দায়িত্ব সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের উপর থাকবে যে তারা এই ব্যবহার রোধ করার জন্য যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ নিচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার যোগাযোগ মন্ত্রী মিশেল রোল্যান্ড বলেন, এর ফলে যে প্ল্যাটফর্মগুলি প্রভাবিত হবে তার মধ্যে মেটা প্ল্যাটফর্ম, টিকটক, এক্স হ্যান্ডল, গুগল, ইউটিউব, ইনস্টাগ্রাম সম্ভবত এই আইনের আওতায় পড়বে। বেশ কয়েকটি দেশ ইতিমধ্যে আইনের মাধ্যমে শিশুদের সামাজিক মিডিয়া ব্যবহার বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যদিও অস্ট্রেলিয়ার নীতিটি সবচেয়ে কঠোর।
আরও পড়ুন: ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্পত্তির পরিমাণ কত?
ফ্রান্স গত বছর ১৫ বছরের কম বয়সীদের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব তুলেছিল। যদিও ব্যবহারকারীরা পিতামাতার সম্মতিতে তা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা এড়াতে সক্ষম হয়েছিল। আমেরিকা কয়েক দশক ধরে ১৩ বছরের ক্ষেত্রে এই ধরনের কম বয়সী শিশুদের ক্ষেত্রে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।