ওয়েব ডেস্ক: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সম্ভাব্য পরমাণু যুদ্ধের প্রস্তুতি হিসেবে সেনাবাহিনীকে আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ‘স্যাটান-২’ প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষিতে ইউরোপ ও আমেরিকার প্রতি বারবার হুমকি দিচ্ছেন পুতিন। সম্প্রতি রাশিয়ার ভূখণ্ডে আমেরিকা এবং ব্রিটেনের অনুমোদিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়া আরও আক্রমণাত্মক হয়েছে। পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের হুমকি দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করেছে ক্রেমলিন।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রাশিয়ার জমিতে ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র ফেলার অনুমতি দেওয়ার পর ব্রিটেনও একই সিদ্ধান্ত নেয়। এর ফলে ইউক্রেন রাশিয়ার মাটিতে এটিএসিএমএস এবং ব্রিটেনের স্টর্ম শ্যাডো ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। এর জবাবে রাশিয়া পরীক্ষামূলকভাবে শক্তিশালী ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে। এই প্রতিরোধের অংশ হিসেবেই পুতিন স্যাটান-২ প্রস্তুতির নির্দেশ দেন, যা হাজার কিলোমিটার দূরের লক্ষ্যবস্তুতে পরমাণু অস্ত্র নিক্ষেপ করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন: গোপনে সেনা বাড়াচ্ছে রাশিয়া! হাত মেলাচ্ছে ইরানের সঙ্গে?
‘স্যাটান-২’ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রথমে ‘আরএস-২৮ সারম্যাট’ নামে পরিচিত ছিল। এটি একটি শক্তিশালী আন্তর্মহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম), যা হুনদের সঙ্গে লড়াই করা সামারিটানসদের নামে নামকরণ করা হয়েছিল। এর বর্তমান নাম নিয়ে পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক চর্চা চলছে। পুতিন এটিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার অন্যতম প্রধান হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করছেন। এর কার্যক্ষমতা এবং বিধ্বংসী ক্ষমতা রাশিয়ার পরমাণু শক্তি বাড়ানোর প্রমাণ দেয়।
আমেরিকার রাজনীতি এবং পুতিনের প্রতিক্রিয়া
গোপন সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনকে পরমাণু অস্ত্র সরবরাহ করতে পারেন। তার এ সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন অনেকে। আমেরিকার নব-নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ এবং ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই বিদায়বেলায় বাইডেনের এমন পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ ভূ-রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
পুতিনের স্যাটান-২ প্রস্তুতির নির্দেশ এবং বাইডেনের পরমাণু অস্ত্র সরবরাহের সম্ভাবনা বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বাড়লে এটি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত হতে পারে। আন্তর্জাতিক মহল এখন এই পরিস্থিতি নিরসনে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। তবে ক্রেমলিনের সাম্প্রতিক পদক্ষেপ ভবিষ্যতে আরও অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে।
দেখুন আরও খবর: