বর্ধমান: ফুটপাতকে দখলমুক্ত করতে রাজ্যজুড়ে শুরু হয়েছে হকার উচ্ছেদ (Hawker’s Eviction) অভিযান। রাজ্য সরকার যেখানে হকার উচ্ছেদে এক মাস সময় বেঁধে দিলেও সেখানে রেল মাত্র ১৩ দিনের নোটিশে বস্তি উচ্ছেদ করল। ঘটনাটি ঘটে কাটোয়া ছোট লাইন সংলগ্ন কুলি কলোনিতে। বর্ষায় বৃষ্টির দিনে ছাদ হারাল ৫০ থেকে ৬০ পরিবার। স্টেশনের আধুনিকরণের গুঁড়িয়ে গেল বস্তি।
কাটোয়া ছোট লাইন সংলগ্ন কুলিপারা বস্তি উচ্ছেদের কাজ শুরু করল রেল কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় বসবাস করছে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ পরিবারের ১৫০-২০০ বাসিন্দা। গত ১৩ দিন আগে রেল তরফে নোটিশ দেওয়া হয়। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মতই বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় বস্তি উচ্ছেদের (Railway Evict Basti) কাজ। এদিন আর পি এফ এর বিশাল বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে বস্তি উচ্ছেদ করে রেল কর্তৃপক্ষ। জেসিবি দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয় একের পর এক বস্তি। এই বস্তি উচ্ছেদের জেরে গৃহহীন হয়ে পড়ল প্রায় ৫০ থেকে ৬০ টি পরিবার। রেলের তরফে পুনর্বাসন দেওয়া হয়নি। বস্তিবাসীদের দাবি, এই বর্ষার সময়ে এত কম সময়ে তারা তাদের জিনিসপত্র খালি করতে পারেনি এবং অন্যত্র যেতেও পারেনি। সরকার থেকে তাদের পুনর্বাসন দেওয়ার কোন আশ্বাসও দেয়নি। এই বর্ষার সময় মাথার উপর থেকে ছাদ টুকু কেড়ে নিল রেল। ভিটেমাটি হারিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ বস্তিবাসীদের।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে বিডিওর আইবুড়োভাত, আয়োজনে তৃণমূল
রেলের আরপিএফের আধিকারিক আশুতোষ বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন জানান, অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় রয়েছে কাটোয়া জংশন রেলওয়ে স্টেশন রেলওয়ে স্টেশন এবং তার সংলগ্ন এলাকা আধুনিকীকরণের উদ্দেশ্যেই এই বস্তি উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। বেশ কয়েকদিন আগেই বস্তিবাসীদের জানানো হয়েছিল তাদের যাবতীয় যা জিনিসপত্র রয়েছে তা সরিয়ে নিয়ে বস্তি ছেড়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই কয়েকটি পরিবার সেই অনুযায়ী বস্তি খালি করে দিয়েছে। তবে বাকি যেই বস্তিগুলি খালি করেনি তাদের জিনিসপত্র যাতে ক্ষয়ক্ষতি কম হয় সেই কথা মাথায় রেখেই বস্তিগুলিকে খালি করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, রেলপথের ধারে বিগত কয়েক দশক ধরে রেলের জমি দখল করে বসবাস করে আসছেন বহু মানুষ। ধীরে ধীরে তা পরিণত হয়েছে আস্ত একটা বস্তিতে। অভিযোগ গত বেশ কয়েকমাস ধরে এই বস্তি উচ্ছেদের চেষ্টা করে চলেছে রেল কর্তৃপক্ষ।
অন্য খবর দেখুন