ঝাড়গ্রাম: তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই পেলেন ঝাড়গ্রামবাসী। হাওয়া অফিসের পূর্বভাসকে সত্যি করে সোমবার সন্ধ্যায় ভিজল ঝাড়গ্রাম (Rainfall Jhargram)। কাঠফাঁটা গরমে বিগত কয়েকদিনে মানুষের নাজেরহাল অবস্থা। বৃষ্টির অপেক্ষায় তীর্থের কাকের মতো অবস্থা হাল মানুষের। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা থেকে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয় বৃষ্টি। ঝাড়গ্রাম সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন অংশে শুরু হল বৃষ্টি। সোমবার সন্ধ্যা থেকে বৃষ্টি দেখা মিলতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল শহরবাসী। বৃষ্টির জেরে সবজি চাষিরা উপকৃত হলেন।
বেশ কয়েকদিন ধরে শুরু হওয়া প্রচন্ড তাপপ্রবাহের জেরে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছিলেন সবজি চাষীরা। ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে প্রবল গরমে নাজেহাল সাধারণ মানুষজন। সূর্য মধ্যগগনের দিকে এগোতে শুরু করলেই বাড়ির বাইরে পা দেওয়া দায় হয়ে উঠছে। শুধু চড়া রোদই নয়, সঙ্গে তাপপ্রবাহের জেরে চরম কষ্ট আর আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। খুব প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরোতে পারছেন না মানুষজন। চরম সমস্যায় ঝাড়গ্রামবাসী। চৈত্রের শুরুতেই ঝাড়গ্রামের তাপমাত্রা প্রায় ৪০ ডিগ্ৰি কাছাকাছি। তীব্র গরম আর তাতেই একেবারে নাজেহাল হয়ে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলার তাপমাত্রা ৪০ ছুঁয়েছে। এরই সঙ্গে তাপপ্রবাহের সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। কার্যত গলদঘর্ম অবস্থা। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গেই নয়, উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলাতেও তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে হাওয়া অফিসের তরফে। সোমবার সন্ধ্যায় স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল ঝাড়গ্রাম ও জঙ্গলমহলের বিস্তৃর্ণ এলাকা। সঙ্গে বইছে ঝোড়ো হাওয়া।
আরও পড়ুন: ফের সবুজ ঝড়! বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভোটে জিতল তৃণমূল
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, চলতি সপ্তাহেই কালবৈশাখীর (Kalbaisakhi) সম্ভাবনা রয়েছে বাংলায়। একটানা তুমুল ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রার কোনও হেরফের হবে না। বুধবার থেকে ২ থেকে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমবে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। বৃহস্পতিবার কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
অন্য খবর দেখুন