কলকাতা: রানাঘাটে বিজেপি নেতাকে মারধরের (BJP Leader Beaten in Ranaghat) অভিযোগ। পায়রাডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্য গৌতম বিশ্বাসকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনায় জেলা নির্বাচনী আধিকারিক এবং পুলিশ সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
ভোট গ্রহণ শুরু পর থেকে রানাঘাটের কয়েকটি জায়গায় অশান্তির ঘটনার অভিযোগ উঠেছে। তবে ভোটের আগের রাত থেকে উত্তপ্ত রানাঘাট। মঙ্গলবার রাতে রানাঘাট দক্ষিণের পায়রাডাঙায় বিজেপির পোলিং এজেন্ট শ্রাবন্তী দে-র বাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ। পরিবারের দাবি, গভীর রাতে ৩০-৩৫ জন দুষ্কৃতী চড়াও হয়। সিসিটিভি ভেঙে দেওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছেন তিনি। অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে। ইতিমধ্যে এই ঘটনায় ২৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বিজেপি এজেন্টের দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই এই হামলা চালিয়েছে। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পায়রাডাঙার ঘটনায় রিপোর্ট তলব করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)।
আরও পড়ুন: সকাল ৯টা পর্যন্ত চার কেন্দ্রে ভোটদানের হার ১০.৮৫ শতাংশ
অন্যদিকে বিজেপির পোলিং এজেন্টের বাড়ি ভাঙচুর ও গুলি চালানোর অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটে নদিয়ার রানাঘাট থানার পূর্ণ নগর এলাকায়। রঞ্জিত মণ্ডল নামে ওই ব্যক্তি ১৫৭ নম্বর বুথের পোলিং এজেন্ট। অভিযোগ, গতকাল রাতে তাঁরা যখন ঘুমোচ্ছিলেন সেই সময় ঘুম থেকে ডেকে তোলা হয়। বারান্দার কাচ ভাঙচুর করা হয়। চলে দু রাউন্ড গুলি। ভয়ে সিঁটিয়ে পরিবার।
ভোটগ্রহণ হচ্ছে মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জে। অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করেছে নির্বাচন কমিশন। পুলিশের পাশাপাশি, এই ভোটেও থাকছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। চার কেন্দ্রের ভোটের জন্য ৫৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সকাল থেকে রাজ্যের চার কেন্দ্রে উপনির্বাচনে (West Bengal By-Election) বিক্ষিপ্ত অশান্তির মধ্যদিয়ে চলছে ভোটগ্রহণ। এদিকে একের পর এক জায়গা থেকে ইভিএম খারাপের অভিযোগ আসতে শুরু করেছে।
অন্য খবর দেখুন